বিজ্ঞাপন

দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা: পলক

July 30, 2024 | 3:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, দেশের ৩৫টি ক্রিটিকাল ডিজিটাল ইনফাসট্রাকচার সুরক্ষায় মাত্র ৮টি সাইবার সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ব্যাংকিং, তৈরি পোশাক, টেলিকম ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, এনএসআই পরিচালক কর্নেল শফিক, ডিজিএফআই ডিজি ব্রিগেডিয়ার তামজিদ, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকসহ অন্যরা।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘ব্যাংক, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশিবার হামলা চালিয়ে ৮টি ওয়েবসাইটের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করব। যারা বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’

বিজ্ঞাপন

পলক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে হামলা হয়নি। এমনকি কোনো ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যও নিতে পারেনি সাইবার হামলাকারীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পর্যালোচনা করে আমরা চারটি বড় খাতে সাইবার হামলা হওয়ার আশঙ্কা করছি। খাত ৪টি হচ্ছে— ব্যাংকিং সেক্টর, তৈরি পোশাকশিল্প, টেলিকম সেক্টর এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না।’

পলক বলেন, ‘ভিপিএন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে দেশে ৫ হাজার গুণ ভিপিএন ব্যবহার বেড়েছে। এর ফলে বিদেশি আইপিতে যুক্ত হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যান্ডউইথের ওপর চাপ বাড়ছে।’

সাত লাখ ফ্রিল্যান্সারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কাছে পাঠানো প্রশ্নের জবাবে টিকটক আন্তরিকভাবে সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তবে ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে উত্তর পাওয়ার সময় রয়েছে। উত্তর সন্তোষজনক হলে এগুলো খুলে দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, পলকের সঙ্গে বৈঠকে দেশের ৩৫টি কেপিআই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন