বিজ্ঞাপন

স্বৈরাচারদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়— জামায়াত ইস্যুতে ফখরুল

July 30, 2024 | 11:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত (জামায়াত নিষিদ্ধ) যারা স্বৈরাচার, যারা ডিকট্রেটর, জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক থাকে না তাদের নিতে হয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত তারা বহু নিয়েছে এবং এগুলো তাদের নিতে হয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেন এত দিন নেয়নি তারা? এখন নিচ্ছে কেন? এগুলোর পেছনে তাদের অনেক যুক্তি থাকবে, অনেক কথা ওরা বলবে। আমরা যে কথাগুলো বলছি তার বিপক্ষে তারা অনেক কথা বলবে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলি যে, আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্রে; আমরা বিশ্বাস করি যারা যারা এখানে রাজনীতি করে, তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার।’

জামায়াত ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে চলমান ইস্যুকে ডাইভারশনের দিকে নিয়ে যায়। এটা তাদের আরেকটি প্রজেক্ট। আমরা ভাই বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের আদর্শ হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে, কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে না। এখন এখানে দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন ও অবাধ নির্বাচন। আজ যে এত ক্রাইসিস, এর কারণ, দেশে কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নাই। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না হলে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের প্রতিনিধি দরকার এবং জনগণের কাছে যাদের একাউন্টেবিলিটি থাকবে, দায়-দায়িত্ব থাকবে, একটা জবাবদিহিতা থাকবে। সেই জবাবদিহিতা যদি না থাকে তাহলে এটা সম্ভব না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তারা কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসেনি। তারা সবসময় কৌশল করে নির্বাচনের বৈতরণী পার হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই সরকার পরিকল্পিভাবে এদেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই যে ঘটনা ঘটে গেছে, মানুষের প্রাণ গেছে এটাকে আমরা গণহত্যা বলি। অবশ্যই এটা গণহত্যা। আমার লিখিত বক্তব্যে দেখবেন এটাকে গণহত্যা বলা আছে। আমি মনে করি, এই গণহত্যার তদন্ত অবশ্যই জাতিসংঘের অধীনে হওয়া উচিত। কারণ, এই সরকারের কোনো তদন্তে আমরা বিশ্বাস করি না। এরা নিরপেক্ষ না তো, কীভাবে এদের বিশ্বাস করবেন?’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি গত কয়েকদিনের ঘটনায় যে ছাত্র ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের বাড়িতে কেউ খেতে পারছে না। তাদের চোখের সামনে ছেলে চলে গেছে, তাদের ভবিষ্যৎ চলে গেছে, তাদের সবচেয়ে প্রিয় যে জিনিসটা চলে গেছে। হোয়াট ইজ এনসার। রাষ্ট্রের কী উত্তর? রাষ্ট্রের জবাবটা কী? কী অ্যানসার দেবে সে? দায়িত্ব তো তার। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব তার। এ কথা বললে তো চলবে না যে, আমরা কী করতে পারি, বিভিন্নভাবে ঘটে গেছে। ইউ হেভ ক্রিয়েটেড দিস সিচ্যুয়েশন। এই দায় তোমার, এই দায় অবশ্যই তোমাদের নিতে হবে।’

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন