বিজ্ঞাপন

‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য ঈদ উপহার

June 3, 2018 | 11:58 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষদের জন্য ‘ধরলা সেতু’ এবারের ঈদ উপহার বলে ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩ জুন) ভিডিও করফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন করে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সেতু উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের ঈদ উপহার দিলাম। সেতুটি  ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভাল করার দায়িত্ব আপনাদের। উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার মানুষ বিশেষ করে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম এবং রংপুরবাসী এই সেতু থেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে উপকার পাবেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরপরই সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই সেতু। এ উপলক্ষে সেতুর দুই পাড়ে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের অংশে সেতুটির উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে সেতুটি উদ্বোধন ঘোষণা করার সাথে সাথে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় স্থা্নীয়দের।

কুড়িগ্রাম এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থ ও প্রযুক্তিতে এই গার্ডার সেতুটির নির্মিত হয়েছে। ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উত্তারাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু। এই সেতুটি উত্তর ধরলার তিনটি ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করবে প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটির কারণে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উপকার পাবেন। এছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে  ভূমিকা রাখবে এই সেতু।

বিজ্ঞাপন

এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সেতুটি নির্মাণ করছে সিমপ্লেক্স এবং নাভানা কনষ্ট্রাকশন গ্রুপ। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮০ মিটার চওড়া সেতুটির ১৯টি স্প্যান ও ৯৫টি গার্ডার রয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ৯১৯ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৯ টাকা, ৩ হাজার ৪৮০ মিটার নদী শাসনে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩ একর।

এদিকে,ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধনের সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

সারাবাংলা/এনআর/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন