বিজ্ঞাপন

বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

July 31, 2024 | 6:28 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরিশাল: বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এ সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ও জজ কোর্টের সামনে ফজলুল হক এভিনিউতে এ ঘটনা ঘটে।

লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক শামীম আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক হৃদয় চন্দ্র শীল, এনটিভি টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক গোবিন্দ সাহা, অনলাইন পোর্টাল বার্তা টোয়েন্টিফোরের তুহিন খান। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সাংবাদিকরাও সদর রোডে কিছু সময় অবস্থান করেন। আহত সাংবাদিকরা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে বেলা ১১টার পর কাঠপট্টি সড়কের মুখে মিছিল করার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন। তবে কর্মসূচির শুরুতেই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে টানাহিঁচড়া করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখে। পরে কয়েকশ আন্দোলনকারী এক জোট হয়ে সদর রোডে অবস্থান করলে পুলিশ শুরুতে তাদের ধাওয়া দেয় পরে আচমকা লাঠিচার্জ করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বরিশাল জজ কোর্টের সামনে, ফজলুল হক এভিনিউ সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।

আন্দোলনকারীরা জানান, নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী এসে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেন। শেষে শিক্ষার্থীরা আদালতের মূল ফটকের সামনে এসে জড়ো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুনরায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার নাফিসুর রহমান জানান, পরিস্থিতি তারা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘বেশকিছু শিক্ষার্থী কোর্ট এলাকায় এসে অবরোধ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী নেই, তারা সবাই শিবির কর্মী। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিক আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।’

বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার জেহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। নগরীর শান্তি-শৃখলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন