বিজ্ঞাপন

আন্দোলন প্রত্যাহারের স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য করে ডিবি: ৬ সমন্বয়ক

August 2, 2024 | 2:56 pm

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে ‘নিরাপত্তা প্রশ্নে’ আটক থাকার পর গতকাল মুক্তি পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক। মুক্তি পেয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন—আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ভিডিও স্টেটমেন্টটি তাদের কাছ জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছিলো। তাদের দাবি—‘মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই’ এমন কাজ করেছে ডিবি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে এক যৌথ বিবৃতিতে এইসব তথ্য জানান ডিবি হেফাজতে থাকা আন্দোলনের ওই ছয় সমন্বয়ক। তারা হলেন—মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার।

আটক হওয়া প্রসঙ্গে বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি পুলিশ জোরপূর্বক মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসে। মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। ২৭ জুলাই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে সায়েন্স ল্যাব থেকে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হয়। ২৮ জুলাই সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে ভোররাতে বাসার দরজা ভেঙে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।’

আন্দোলনের নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতে ‘সমন্বয়কদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে’ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়— ‘মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তার নামে ছয় সমন্বয়ককে সাত দিন ধরে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবিপ্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে দেওয়া স্টেটমেন্ট ‘জোরপূর্বক’ গৃহীত হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, ‘আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়কের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না।’

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে নাস্তা করছেন—সামাজিক যোগাযোগম্যাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তারা বলেন, ‘ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। আমাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে এলে, দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন