বিজ্ঞাপন

অভিযান চলবে, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়: কাদের

June 3, 2018 | 1:13 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মাদকবিরোধী অভিযান জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না সরকার।

রোববার (৩ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমাণিত হলে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিও ছাড় পাবে না উল্লেখ করেন তিনি।

মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের রাজনীতি জনগণের কাছ থেকে সংকুচিত হয়েছে। যে কারণে হতাশা থেকে তারা আবোল-তাবোল বকছে। এই অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে ১২৩ জন মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি যারা মারা গেছেন তারা তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। অভিযান চলাকালে বন্দুকযুদ্ধে তারা মারা গেছেন। চলমান এ অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।

মাদকবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন মহলের সন্তুষ্টি থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে অভিযানের ধরন নিয়ে। গত কদিন ধরে অভিযান প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার (২ জুন) বলেছিলেন, ‘এত বড় অভিযানে দুয়েকটা ভুল হতেই পারে। তারপরও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যদি কেউ জড়িত থাকে, তার যথোপযুক্ত বিচার হবে।’

এর আগে শুক্রবার (১ জুন) জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতর অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) জানায়, তারা বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের এ দফতরটি এক প্রেস বিবৃতিতে ইউএনওডিসির মুখপাত্র সোনিয়া ই জানান, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট কৌশল অবলম্বনের জন্য সব সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এছাড়া মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট দশ ব্যক্তি। গতকাল শনিবার (২ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।

সারাবাংলা/এমএস/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন