বিজ্ঞাপন

মৌসুমের সর্বোচ্চ উৎপাদনে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র

August 2, 2024 | 11:35 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির ঢলে হু হু করে পানি বাড়ছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে। এতে বাড়ানো হয়েছে দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে ১৬০-১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও এখন উৎপাদন বেড়ে ২০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বিভাগের তথ্য মতে, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের সব কটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। শুক্রবারও (২ আগস্ট) কেন্দ্রটিতে উৎপাদন হয়েছে ২০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৩৫ মেগাওয়াট, ২ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৫ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট ও ৫ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে। পাঁচ ইউনিটে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।’ কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৯৩ দশমিক ৫ মিনস সি লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে। রুলকার্ড অনুযায়ী (সময় বা মৌসুমভিত্তিক পানি বাড়া-কমার পরিমাপ) হ্রদে পানি থাকার কথা ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ এমএসএল। রুলকার্ডের হিসাবে প্রায় ৪ এমএসএল পানি বাড়তি আছে কাপ্তাই হ্রদে।

বিজ্ঞাপন

কাপ্তাই হ্রদে মোট পানি ধারণ সক্ষমতা আছে ১০৯ এমএসএল। তবে ১০৪ থেকে ১০৬ এমএসএল পানি হলে হ্রদ পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। তখন কাপ্তাই বাঁধের স্লুইস গেট বা জলকপাট দিয়ে পানি নির্গমণ করা হয় কর্ণফুলী নদীতে।

প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রমত্তা কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই অংশে বাঁধ দিয়ে গড়ে তোলে কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদে সংরক্ষণ করা পানি দিয়ে শুরু হয় দেশের একমাত্র জলবিদ্যুকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

শুরুর দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও পরে ধাপে ধাপে ২৩০ মেগাওয়াট সক্ষমতায় উন্নীত করা হয়েছে, যদিও সরকারি হিসাবে ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বলা হলেও কেন্দ্রটি ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা। বর্তমানে দেশের সব চেয়ে সাশ্রয়ী এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ইউনিট প্রতি উৎপাদনখরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ পয়সা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন