বিজ্ঞাপন

তিস্তা চুক্তির আশা আবার জেগেছে!

June 3, 2018 | 1:43 pm

।।মাহবুব স্মারক।।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে একটি কথা মুখে মুখে। তা হলো ‘পশ্চিমবঙ্গে দিদিই একমাত্র দাদা’! কথাটা পশ্চিম মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে। মনমোহন সরকারের পর মোদী সরকারেরও পার হলো চার বছর। দুই সরকারকেই দারুণ ‘দাদাগিরি’ দেখিয়েছেন মমতা। তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে ভারত বাংলাদেশের বহু প্রতিক্ষিত চুক্তি আলোর মুখ দেখলো না। গললো না মমতার কঠিন মন। এরমাঝে গঙ্গা-তিস্তায় বহু জল গড়ালো।

পশ্চিমবঙ্গে দুই যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা বামপন্থি সরকারকে পরাজিত করে মমতা ব্যানার্জি এসেছিলেন ভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে। বাঙলা ভাষাভাষি মানুষের জনপদ- কী পশ্চিমবঙ্গ, কী বাংলাদেশ! খুশি হয়েছিলো মানুষ। কিন্তু ২০১০ সালেই হলো মোহভঙ্গ। সেবছরই প্রায় চূড়ান্ত তিস্তা চুক্তি হবে এমন বার্তা নিয়ে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তখন অসমর্থিত সূত্রে খবর হয়েছিলো, মনমোহনের ঢাকা সফরের আগে তিস্তা চুক্তির খসড়া মমতার কাছে পাঠিয়ে বলা হয়েছিলো কেবল সই করে দিতে। অপমানিত মমতা সেই যে বেঁকে বসলেন, আজ অবধি তাঁর মন গলেনি।

ভারতের সংবিধানে রাজ্য আর কেন্দ্রের ক্ষমতা নির্ধারণ করা আছে। কোনো কোনো বিষয় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, কিছু রাজ্যের। যদি কোন সিদ্ধান্তে রাজ্যের আপত্তি থাকে, আলোচনার বিষয় থাকে, তবে কেন্দ্র রাজ্যকে রাজি করিয়ে বা সম্মতি নেবে এমনটাই বিধান। জল বন্টনের বিষয়টি এমনই। যা একান্তই রাজ্যের বিষয়। তিস্তার পানিবন্টনের ইস্যু পশ্চিমবঙ্গের সিদ্ধান্ত অপরিহার্য হলেও, দিল্লি মেনে নিয়েছে যে তিস্তার পানিতে বাংলাদেশের অধিকার আছে। এনিয়ে একটি চুক্তির দাবিও যৌক্তিক,ন্যায্য! কারণ উজানে নদীর পানির হিস্যা চাইবার অধিকার বাংলাদেশের আছে।

বিজ্ঞাপন

এরপর দেশটির কেন্দ্রে সরকার বদল হয়েছে। তবে তিস্তার পানি হিস্যার দাবি যখন যৌক্তিক তখন তাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৌশলী হতে হচ্ছে। তাঁর সরকারের মেয়াদের শেষভাগে তাই মমতাকে বাড়তি সম্মান দেখালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে দাওয়াত দিলেন মমতাকে। বসালেন মঞ্চে। ডাকলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। এর মধ্যদিয়ে মোদী হয়তো বিশ্ববাসীকে এই বার্তাই দিয়েছেন, তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার আন্তরিক।

তারপরও রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি যখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একেবারে কোনঠাসা তখন দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে উষ্মার গন্ধ পেয়েছেন অনেকে। কেননা শান্তি নিকেতনের অনুষ্ঠানের কোথাও মোদি-মমতায় সরাসরি বাক্য বিনিময়ের খবর পাওয়া যায়নি। আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা, যারা সামনে থেকে এসব অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহ করেছি তাদের চোখে সেই দৃশ্য চোখে পড়েনি। বরং এমন দৃশ্যও দেখা গেলো যে, বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের শুরুতে মোদি ও মমতা একদিকে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক দেবার পর, রীতিমতো দৌড়ে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েই ছবি তুললেন মমতা ব্যানার্জি। বোঝাগেলো যতটা মোদিতে তারচেয়ে বেশি হাসিনায় মমত্ব বেশিই দেখিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

যা হোক, ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের কাছে বার্তা ছিলো তিন নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের পর মোদি-হাসিনা বৈঠক করবেন, তারই এক ফাঁকে ডাকতে পারেন মমতাকে। তখন যদি তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়, তবে অবাক হবার কিছু থাকবে না। আমাদের দৃষ্টি ছিলো অনুষ্ঠানের সেই চুম্বক অংশকে ঘিরে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের সময় ভবনটির দারুন প্রশংসা করলেন মমতা। তুললেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানার সাথে তার ব্যাক্তিগত হৃদ্যতা, আন্তরিকতার সম্পর্কের কথা। বললেন, পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গভীর মমত্ববোধের চিরায়ত সম্পর্কের কথা। প্রস্তাব দিলেন সুযোগ পেলে পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা গড়ে তুলতে চান, বঙ্গবন্ধুর নামে একটি ভবন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়ে শুধু বলেছিলেন, কিছু সমস্যার প্রসঙ্গ তুলে তিনি এই চমৎকার সুন্দর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নষ্ট করতে চাননা। কথাটা যে তিনি তিস্তার প্রসঙ্গকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তা বলা বাহুল্য। এমন একটি কথা বলার মানেও এই যে, বাংলাদেশ তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি করতে ভারতের ওপর আস্থা রেখেছে। কিন্তু ভারত কী তার কথা রাখতে পারছে? আর ধৈর্য্যেরও তো একটা সীমা আছে!

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে যখন মোদি-হাসিনা একান্ত বৈঠকের জন্য যাচ্ছেন, তখন দুই দেশের সংবাদকর্মীদের চোখের সামনে রীতিমতো ফুরুৎ করে উড়ে, গাড়িতে চড়ে বসলেন মমতা। নিরাপত্তা রক্ষীর গাড়ির দরজা খুলে দেবে সেই সময়টুকুও দিলেন না তিনি। সংবাদকর্মীরা চিৎকার করে বলতে থাকলেন, তিস্তা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে বা আলোচনা হবে কী না? মমতা কেবল বললেন, ‘কলকাতা আসো, কথা হবে’!
সেদিন মমতা ব্যানার্জির এভাবে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের মধ্যদিয়েই ভেস্তে যায়, তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার সাথে দুই প্রধানমন্ত্রীর কোন রকম আলাপ আলোচনার সম্ভাবনা। মমতাও বুঝিয়ে দিলেন, তিস্তা নিয়ে এতো সহজে গলার পাত্র তিনি নন।

মমতা চলে গেলেও, একই ভেন্যুতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা একান্ত বৈঠক করেন। ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর তারাও বেরিয়ে যান। গণমাধ্যম কর্মীরা বৈঠকের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলেও মুখ খোলেননি শেখ হাসিনা।

তবে খানিকটা মুখ খুলেছেন, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। জানতে চেয়েছিলাম তিস্তা প্রসঙ্গ। বললেন, তিস্তা নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। তিস্তা নিয়ে চুক্তি একটা হবে তবে দিনক্ষণ বলা যাবে না, সমিচিনও হবে না। তবে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হকের কাছেও ছিলো একই প্রশ্ন। জানালেন, দুই প্রধানমন্ত্রী যখন একান্ত বৈঠক করেন তখন সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেন। অমীমাংসিত নানা বিষয়, যেমন তিস্তা, রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা নিশ্চয়ই হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঐদিকে, ভারত সরকারও যে চেষ্টা চালাচ্ছে সেটাও স্পষ্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্ঠেও। দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনিও জানালেন, রাজ্যের সাথে সমঝোতা না করে তিস্তা সম্ভব নয়। বিজিপি সরকারের বাকি মেয়াদেই চুক্তি করার আশা জানিয়েছিলেন তিনি।

আশা যাই থাকুক, কূটনীতিতে ‘না’ মানেই কিন্তু ‘না’ নয়, বরং একেবারেই উল্টো। আবার হ্যাঁ মানেও একেবারেও সম্মতি নয়। তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার সাথে শেখ হাসিনার আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই, দায়িত্বশীলদের এমন কথায় গণমাধ্যমকর্মীরা দেখেছেন বাঁকা চোখে। আসলে সূচী না থাকলেও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়ে তিস্তা চুক্তির ভবিষৎ নিয়ে। সম্ভাবনার নতুন রাস্তা তাঁরা বের করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ২৫ মে মমতার সাথে তিস্তা নিয়ে কোন প্রকার আলোচনা না হওয়ায় সকলের আগ্রহ ছিলো, ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যাবার আগে হাসিনা-মমতার সাথে বৈঠকটির দিকে।

কোলকাতা ছেড়ে যাবার আগে, পশ্চিমবঙ্গ সফরে শেখ হাসিনার আবাসস্থল তাজ বেঙ্গল হোটেলে আসেন মমতা ব্যানার্জি। সাথে তাঁর মন্ত্রীদের অনেকে। দুই নেতা মন্ত্রীদের সাথে নিয়ে আধঘন্টা বৈঠক করেন। পরে, হাসিনা-মমতা একান্তে বৈঠক করেন রুদ্ধদ্বারে। যার সূচী নিয়ে কোন পক্ষই মুখ খোলেননি।

কোলকাতায় এমন বৈঠকের পর, সাংবাদিকদের মধ্যেই আলোচনা যে তিস্তা নিয়ে জটিল গিট্টু ধীরে ধীরে খুলছে। ভেতরে ভেতরে কাজও হচ্ছে। বরফও গলছে। তবে সংবাদকর্মীরা এমনটাও বলছিলেন, তিস্তা নিয়ে কোন সমাধানে না আসা পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন কথা বলবেন না, প্রতিক্রিয়াও দেখাবেন না এমন সিদ্ধান্ত আছে ভেতরে ভেতরে। শেখ হাসিনা দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর শেষে চলে আসার পরও, কোলকাতার সংবাদ মাধ্যমে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখাননি মমতা ব্যানার্জি।

আর অন্যদিকে, ২৬মে রাতে শেখ হাসিনা কলকাতার হোটেল তাজবেঙ্গল ছেড়ে যাবার আগে, কোলকাতার ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের দেবদীপ পুরোহিত শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইলেন- আপা, সফর কেমন হয়েছে? শেখ হাসিনা অবশ্য হাসিমুখেই বলেছিলেন, ‘ভালো…ভালো’। আবার প্রশ্র- আপা আপনার মনের আশা কী পূরণ হয়েছে?

কোন উত্তর না দিলেও, হেসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে তিনি ছিলেন তৃপ্ত, আশ্বান্বিত। দেশে ফিরে শেখ হাসিনা গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা নিয়ে প্রশ্ন এলেও বিস্তারিত কোন কথা বলেননি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণমাধ্যমসূত্রগুলো এমর্মে নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে একটি চুক্তির আশা নতুন করে তৈরি হয়েছে। হাসিনা-মমতা আন্তরিক সম্পর্ক, রুদ্ধদার বৈঠক তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। চুক্তির জন্য একটি দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকলেও শেখ হাসিনা যেমন হতাশ হননি, তেমনি সখ্যতায় ঘাটতি দেখাননি। এনিয়ে কোন প্রকার দ্বন্দ্বেও জড়ায়নি দুইদেশ।

আবার ভারতও জানে বাংলাদেশের সাথে নিজস্বার্থেই তারও সখ্য বজায় রাখা জরুরি। কারণ বড় দেশ হলেও ভারত পরিষ্কার বুঝতে পারে, দেশ ছোট হলেও ভৌগলিক অবস্থানগত কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ তার কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ!

পশ্চিমবঙ্গের মমতাঘনিষ্ট গণমাধ্যমসূত্রগুলো নিশ্চিত যে, এই সফরের সময়ই শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী একান্তে বৈঠক করেছেন রাজ্যে চিফ সেক্রেটারি মলয় দে’র সাথে। মূলত এরপর থেকেই কলকাতায় গুঞ্জন। বৈঠকে তারা কী আলোচনা করলেন। কিন্তু মুখ খুলছেন না কেউ।

বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তার সূচী জানা না গেলেও, তিস্তা চুক্তির আলো যে নির্বাচনের আগেই ফুটতে যাচ্ছে সেটির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমকর্মীদের মুখে শুধু দুটি কথা…’ভেতরে ভেতরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কিছু একটা হচ্ছে, তিস্তা হবে!’

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কোলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারে কলামিস্ট জয়ন্ত ঘোষাল ৩০মে সম্পাদকীয়তে লেখেন, ‘তিস্তা হোক বা না হোক, এ বার শান্তিনিকেতনে মোদী বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশ নীতির ভ্রান্তিদূর করার চেষ্টা করেছেন। সমাবর্তনের ঐতিহ্য ভেঙে তিনি মমতার মঞ্চে বসার ব্যবস্থা করেন। মোদী দুনিয়ার কাছে বার্তা দিতে চেয়েছেন, হাসিনার জন্য তিনি কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ মেটাতেও তৎপর। মোদী-মমতার এই আপাত-সখ্য কতটা ঢাকার জন্য, কতটা লোকসভা ভোটের আগে দ্বিপাক্ষিক রণকৌশল, সে সব নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবু বলব, বাংলাদেশের যেমন প্রয়োজন ভারতকে, ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্যের প্রয়োজন তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।’ অবস্থানগত কারণে ভারত বাংলাদেশ যে একে অপরের পরিপূরক হয়েই কাজ করতে এটা দুইদেশেরই জানা।

তাই তো ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গ সফর শুরুর দিনই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবন্ধ ছাপল দৈনিক আনন্দবাজার ও দ্য টেলিগ্রাফ যার শিরোনাম ‘ওরে মন হবেই হবে’। সংকটে সমাধানের পথ বাতলানো বাণী বিশ্বকবির গানেই, যাতেই আস্থা রাখতে চান শেখ হাসিনা।

‘নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে
মন, হবেই হবে।
যদি পণ করে থাকিস সে পণ
তোমার রবেই রবে।’

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের ওপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশ। পণ করে ভরসায় আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সেই ধৈর্য্যের উপযুক্ত পাওনা তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করেই দিতে হবে ভারতকে।

মাহবুব স্মারক, বিশেষ প্রতিনিধি, একাত্তর টিভি

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন