বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে ৪ বিএনপি নেতার বাসায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

August 3, 2024 | 10:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির চার শীর্ষ নেতার বাসায় হামলা-ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরা হলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এবং নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সাবেক আহবায়ক শাহাদাত হোসেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে চার বিএনপি নেতার বাসায় একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে বলে দলটির নগর কমিটির দফতর শাখা থেকে জানানো হয়েছে।

নগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী সারাবাংলাকে জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর চকবাজার থানার বাদশা মিয়া সড়কে ওয়ার সিমেট্রির সামনে একটি বহুতল ভবনে গিয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা শুরু করে। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে শাহাদাত হোসেন বসবাস করেন। তিনি এসময় বাসায় ছিলেন না। দুর্বৃত্তরা ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ভবনের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

এরপর আরেকদল দুর্বৃত্ত নগরীর মেহেদিবাগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসার সামনে গিয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে মূল ফটক বন্ধ থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাসা লক্ষ্য করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া বাসার সামনে রাখা নিরাপত্তা কর্মীদের সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেয়।

একই সময়ে নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা ভাংচুর চালায়। সেখানেও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এরশাদ উল্লাহ এসময় বাসায় ছিলেন না।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ রাত নয়টার দিকে নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কের গোয়াছিবাগান এলাকায় মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বাসভবনে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সত্তরোর্ধ এ বিএনপি নেতা এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বাসায় অবস্থান করছিলেন। তবে তার ছেলে ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এসময় বাসায় ছিলেন না।

মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা পেছনের গেইট দিয়ে আমাদের বাসায় প্রবেশ করে। শুরুতেই তারা গুলিবর্ষণ করে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। বাসার সামনে রাখা আমাদের দুটি জিপ ভাংচুর করে। কিরিচ-লোহার রড দিয়ে নির্বিচারে বাসার ভেতর ভাংচুর করেছে এবং কুপিয়ে আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। আমার আব্বা বয়োবৃদ্ধ, তিনি বাসায় ছিলেন। আকস্মিক পরিস্থিতিতে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’

হামলার জন্য সরকারি দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের টার্গেট করে একের পর এক এ হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তারাই দায়ী। চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সহাবস্থানের একটি পরিবেশ ছিল। আওয়ামী লীগ সেটা নষ্ট করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়র মহোদয়, একজন সংসদ সদস্য এবং বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মীর নাসির সাহেবের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুপক্ষ মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা উভয়পক্ষকে ঠেকিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন