বিজ্ঞাপন

রংপুরে সংঘর্ষে মৃত্যু বেড়ে ৩, নিহতদের একজন আ.লীগ নেতা

August 4, 2024 | 3:42 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে রংপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের থানা কমিটির সভাপতি হারাধন রায় হারাসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে সিটি বাজারসংলগ্ন জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারের পাশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তারা নিহত হন। নিহত হারাধন রায় হারা নগরীর পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্দার আব্দুল জলিল ও মিজানুর রহমান মিজান তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দু’জনের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে, সকাল ১০টা থেকে রংপুর টাউন হলের সামনে সড়কে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। এক ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে জমায়েত হয়ে সরকারের পতনে এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। ‘আগস্ট মাসে কিসের শোক, সবার আগে বিচার হোক’, ‘আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছ’ বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে পুরো এলাকা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেক অভিভাবকও আন্দোলনে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে ভাঙ্গা মসজিদের সামনে এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু যায়। আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ চলে। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পিছু হটতে হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। এসময় সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারাধন হারাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের এখন আলোচনায় বসতে বলতেছেন, বঙ্গবন্ধু তো আলোচনায় বসেননি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার ভাইয়ের লাশের ওপর দিয়ে আলোচনায় বসতে পারব না। তাই আর কোন আলোচনা নয়, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া এর কোনো সমাধান নাই।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সরকারের পেটোয়া বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছে। আজকের কর্মসূচিতে আমাদের অন্তত দুইশো শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমরাই অনেকটা অবরুদ্ধ রয়েছি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন