বিজ্ঞাপন

সংঘর্ষ-সহিংসতায় সারাদেশে নিহত ৭৫

August 4, 2024 | 8:13 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ৭৫ জন নিহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জে পুলিশসহ নিহত ২৩

কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দ্বিতীয় দফায় চলমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ সদর দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সিরাজগঞ্জ সদরে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন আওয়ামী লীগের এবং সদরের তিন জন বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রায়গঞ্জে এক সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম তৌহিদ ছয় জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় তিন জন নিহতের দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

রায়গঞ্জে নিহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছারওয়ার লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ওরফে ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন ওরফে টিটু, দৈনিক খবরপত্রের রায়গঞ্জ প্রতিনিধি প্রদীপ কুমার ভৌমিক।

সিরাজগঞ্জ শহরে সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রঞ্জু রহমান, যুবদল কর্মী সুমন শেখ, ছাত্রদল কর্মী আব্দুল লতিফ।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া পুলিশ, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে  শাহজাদপুর উপজেলায় নিহত হয়েছেন একজন। তিনি খুকনী ইউনিয়নের শাহজাহান আলীর ছেলে ইয়াহিয়া।

ঢাকায় নিহত ৬

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকায় এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। রোববার পৃথক সময়ে উত্তরা, জিগাতলা, ফার্মগেট, গুলিস্তান ও কারওয়ান বাজারে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

সারাবাংলা’র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধি জানান, রাজধানীর জিগাতলায় সংঘর্ষের ঘটনায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি (২২)। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকায় থাকতেন। বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিকি।

বিজ্ঞাপন

কারওয়ানবাজার এলাকায় সংঘর্ষের সময় রমিজ উদ্দিন রূপ (২৪) নাম বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রমিজের বাড়ি রংপুরে। তার বাবার নাম মো. রাহেল।

এদিকে, সন্ধ্যায় অজ্ঞাত (২৫) এক যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।

অন্যদিকে, রোববার বিকেলে গুলিস্তান থেকে জহির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি কুমিল্লায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তিনি কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

এ ছাড়া, রাজধানীর ফার্মগেটে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জন নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম তাহিদুল ইসলাম (২২)। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের কাছে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তাহিদুলের বাড়ি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চড় চাউলাকাঠি গ্রামে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুরে নিহত ৮

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে আট জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এদিন লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- কলেজছাত্র কাউসার, আফরান, সাব্বির ও মিজান। এ ছাড়া যুবগীলগের নিহতরা হলেন, হারুন মেম্বার, মো. সুমন, রিয়াজ পাটওয়ারী ও অজ্ঞাত একজন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরূপ পাল তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়, এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রেসক্লাব, রোজ গার্ডেন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

নরসিংদীতে নিহত ৬

আন্দোলনকারীদের মিছিলে গুলি চালানোর জেরে নরসিংদীর মাধবদীতে গণপিটুনিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে মাধবদী পৌরসভার বড় মসজিদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন শাহীন (৪০), নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৩৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূইয়া ওরফে নাতি মনির (৪২), শ্রমিক লীগ নেতা আনিছুর রহমান সোহেল (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন (৩৮) এবং আওয়ামী লীগ কর্মী গোলাপ (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে ছয় আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ১০ জন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা মাধবদীর বড় মসজিদ এলাকায় অবস্থান নিলে সেখানে গিয়ে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয় জন নিহত হন।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, প্রতিপক্ষের হামলা ও গণপিটুনিতে আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা তাদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।

সিলেটে নিহত ২

সিলেটের গোলাপগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন নিহত হয়েছেন। দুপুর একটার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার ধারাবাহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঠিকাদার (খাবার সরবরাহকারী) তাজ উদ্দিন (৪৩) ও শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)।

কিশোরগঞ্জে নিহত ৩

কিশোরগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেলে একজন ও সদর হাসপাতালে দুজনের মরদেহ রয়েছে।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন ও সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. আকরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেনীতে নিহত ৮

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষে আট জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (১৯), সদর উপজেলার দক্ষিণ কাশিমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৮), ফাজিলপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২০), সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব (২১), দাগনভূঁঞার উত্তর জায়লস্কর গ্রামের শামীম (১৯)।

এ ছাড়া সরোয়ার হোসেন মাসুদ, আরাফাত এবং বিপ্লব নামে অপর ৩ জনের লাশ মিললেও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিন রাতে ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংপুরে নিহত ৫

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রংপুর নগরীর পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী খরশু মিয়া। অপর দুজনের মধ্যে একজন হারাধন রায়ের সহযোগী।

রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দার রুমের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুন্সিগঞ্জে নিহত ২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকা। রোববার সকালে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা জামাল জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছর। নিহতরা আন্দোলনকারী হতে পারে।

বরিশালে নিহত ১

বরিশালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম টুটুল চৌধুরী (৬০)। তিনি বরিশাল মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

দুপুরে বরিশাল নগরের বটতলা এলাকার করিম কুটিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সজিব আহমেদ।

কুমিল্লায় নিহত ২

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রুবেল (৩৩) নামের একজন নিহত হয়েছেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে দেবীদ্বার পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল দেবীদ্বার পৌরসভার বারেশ্বর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে।

অন্যদিকে, পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

মাগুরায় নিহত ৩

মাগুরা শহরের ঢাকা রোডে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে আরও দুজন মারা যায়। নিহত একজনের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম মেহেদী হাসান রাব্বি। তিনি পারনান্দুয়ালী এলাকার অধিবাসী এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক।

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক মহসিন উদ্দিন জানান, দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

বগুড়ায় নিহত ২

বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এদের মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ।

বগুড়ার সাতমাথায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের মর্গে দুটি মরদেহ রয়েছে।

পাবনায় নিহত ৩

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি চলাকালে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল (১৮), দোগাছি গ্রামের কালামের ছেলে মো. মাহাবুল (২০) ও ফাহিম (১৭)।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. জাহিদুল ইসলাম তিন জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে ‘

ভোলায় নিহত ১

ভোলায় সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি ভোলা পৌর নবীপুর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে ও ভোলার শহরের নতুন বাজার এলাকায় ছাতা ব্যবসায়ী।

নিহতের ভাই মো. সবুজ জানান, তার ভাই জসিম উদ্দিন ভোলার শহরের নতুন বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে বসে ছাতা বিক্রি ও মেরামত করতেন। আজ দুপুরের দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন একজন মারা গেছে।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন