বিজ্ঞাপন

পরে শপথ নেবেন ৩ উপদেষ্টা

August 8, 2024 | 9:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা পরে শপথ নেবেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যে তিনজন শপথ নিতে পারেননি তারা হলেন— চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায়, অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের চার দিনের মাথায় শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান। প্রথমে শপথ পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শপথ পাঠের পর গোপনীয়তা রক্ষার শপথ পড়েন তিনি।

এরপর ১২ উপদেষ্টা একসঙ্গে শপথ নেন। এরপর তারাও গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৪০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টারা হলেন—

১. সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ

২. লেখক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, কলামিস্ট অধ্যাপক আসিফ নজরুল

বিজ্ঞাপন

৩. মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান

৪. সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ

৫. সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন

৬. বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিজ্ঞাপন

৭. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম

৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

৯. সাবেক নির্বাচন কমিশনার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন

১০. সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা

১১. বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা -উবিনীগ-এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার

১২. হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর আ ফ ম খালিদ হোসেন

১৩. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম

১৪. চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায়।

১৫. নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর শারমিন মুরশিদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন মুরশিদ

১৬. অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসসহ আরও কিছু দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু।

বামপন্থি দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি। এ ছাড়াও ছিলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নূরুল হক নূর। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে তিনি ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সেনাবাহিনী। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাসভবন বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রধান উপদেষ্টা পদে ড. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেন। এতে সায় দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফেরেন ড. ইউনূস।

সারাবাংলা/জিএস/ইউজে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন