বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদি

August 8, 2024 | 10:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে শুভেচ্ছা জানান তিনি। খবর এনডিটিভির।

বিজ্ঞাপন

পোস্টে মোদি লেখেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রুত ফিরে আসার আশা করছি।

তিনি আরও লেখেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ও দুই দেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকারে যে ১৬ জন উপদেষ্টা স্থান পেয়েছেন তাদের পরিচিতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো এখানে—

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। অর্থনীতিবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের মেয়াদ শেষ হলে ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, দায়িত্ব পালন করেন ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

ড. আসিফ নজরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। লেখক, রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

বিজ্ঞাপন

এ এফ হাসান আরিফ। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।

আদিলুর রহমান খান। মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকারে’র সাধারণ সম্পাদক।

মো. তৌহিদ হোসেন। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত।

সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আইনজীবী ও পরিবেশ অধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী প্রধান।

বিজ্ঞাপন

শারমীন মুরশিদ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়। চিকিৎসক ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।

বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম। একাত্তরের রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা। নৌ কমান্ডো ও অপারেশন জ্যাকপটের উপঅধিনায়ক।

ব্রিগেডিয়ার জেনারল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা। সাবেক কূটনীতিক। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামের সাবেক রাষ্ট্রদূত। ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই থেকে সচিব পদমর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত।

আ ফ ম খালিদ হাসান। সুন্নি দেওবন্দি আলেম। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা।

ফরিদা আখতার। লেখক, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী। বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক।

নুরজাহান বেগম। গ্রামীণ ব্যাংকের যাত্রা শুরুর সময়কার একজন। এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। বর্তমানে গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

নাহিদ ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ড. ইউনূসের শপথের পর তিনিই বাকি উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করেন।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে ১৬ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন ১৩ জন। ফারুক-ই-আজম, সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় ঢাকায় উপস্থিত না থাকায় শপথ নিতে পারেননি। তারা শিগগিরই শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন