বিজ্ঞাপন

ভোট হবে, তার আগে রাষ্ট্র সংস্কার: নাহিদ

August 9, 2024 | 12:57 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উপহার দেওয়া হলেও এর আগেই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। তবে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ফলে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এ সরকার কাজ করবে। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। না হলে জনগণের অধিকার লঙ্ঘন হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নাহিদ এসব কথা বলেন। যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে পরিচিত পাওয়া নাহিদ এখন দেশ পরিচালনার জন্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন।

আরও পড়ুন- ‘সরকার প্রত্যেকের, সবার আকাঙ্ক্ষা পূরণের অধিকার থাকবে’

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকার কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে— জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, গত রেজিমে (সরকারের মেয়াদে) যারা গুম-খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল তাদের বিচার করা, তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা, জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনদুর্ভোগ দূর করা— এগুলো সরকারের অগ্রাধিকার। এই কাজগুলো হবে এ সরকারে প্রথম কাজ হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম যে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে। পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সরকারের ভেতরে যেমন ছাত্রদের নেতৃত্ব থাকবে, সব কাজেও আমাদের উপস্থিতি থাকবে। সামগ্রিকভাবে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে নিজেদের কাজে লাগাব।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাহিদ ইসলামসহ ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও রয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি হিসেবে এই দুজন রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিনের মাথায় গঠিত এই সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা ১৬ জন। তবে ঢাকার বাইরে থাকায় তিনজন এ দিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেবেন। আর এই ১৬ জন উপদেষ্টার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টাদের আগে তিনিই রাষ্ট্রপতির কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন।

বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন অন্যান্য শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন