বিজ্ঞাপন

অফিসে গেছেন উপদেষ্টারা, প্রথম কর্মদিবস কাটল শুভেচ্ছা বিনিময়ে

August 11, 2024 | 11:22 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা অফিস শুরু করেছেন। তবে প্রথম দিন কেটেছে শুভেচ্ছা বিনিময় আর পরিচিতি পর্বে। সকালে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিববর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শুরুতে সচিবালয়ে আসেন। এরপর একে একে আসেন অন্য উপদেষ্টারা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ বারোজন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পরের দিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সচিবালয়ে কেউ আসেননি। তবে শনিবার ছুটি উপেক্ষা করেও অনেকে সচিবালয়ে অফিসে উপস্থিত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল থেকেই সকলে কাজে যোগ দিয়েছেন। সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ে আসেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি নিজ দফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচিতি সভা করেন। সেখানে নিজ দফতরের কাজ সম্পর্কে ধারণা নেন।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার অবস্থান যা বদলেছে, কিন্তু দায়িত্বের দিক থেকে কোনো অবস্থান বদলায়নি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যতগুলো বিভাগ আছে তারা যেন পরিবেশের ন্যায় বিচারটাকে দর্শন হিসেবে গ্রহণ করে। সেভাবে তাদের কর্মপরিকল্পনাকে সাজাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনুভব করি যে প্রথাগতভাবে যেভাবে প্রশাসন চলছে, তার কিছু মূল্য আছে। এত দিনের এক্সারসাইজতো মূল্যহীন হতে পারে না। কিন্তু ডেলিভারি বেটার করতে হবে। জনগনের প্রত্যাশার জায়গাটা বেছে নিয়ে, এই যে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যে প্রত্যাশা যোগ হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের একটা সংযোগ তৈরি করতে হবে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কিছু কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধরে এগুবো। এই কাজগুলো মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা আছে। সেখানে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে এগুবো।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো মানুষের আস্থা এ প্রশাসনের ওপরে দ্রুত কিভাবে স্থাপন করা যায়। সেখানে আমরা এমন কিছু কাজ করব যেখানে মানুষের আস্থা অর্জন হয়। সকল ক্ষেত্রে সুশাসন, জবাবদিহিতা,স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনিক কিছু ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অধিদফতরর এবং বিভাগগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয় তা প্রথম থেকেই আমরা তুলে ধরবো। জনগণের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ সব কাজে অবশ্যই গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।’

সাড়ে ৯টার দিকে আসেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।

দেশের মৎস্য সম্পদ কাজে লাগাতে কাজ করবেন জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা।’

বিজ্ঞাপন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্য ও সরবরারের যোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়।’

তিনি বলেন, ‘মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি। আমি খোঁজ খবর নেব তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেব।’

তিনি বলেন, ‘সহিংসতায় যে সকল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ভাঙচুর করা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ, এফ হাসান আরিফ কাজে যোগ দিয়ে বলেছেন, ‘পুরো সরকারই চ্যালেঞ্জের। চলমান পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জের। তবে স্থানীয় সরকারের ভুলভ্রান্তি দূর করে মানুষের হয়রানি দূর করার চেষ্টা করবেন।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ হোসেন অফিস করে বলেছেন, ‘কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। ইন্টারনেট রাইটস মানবাধিকার। এটি লঙ্ঘন করা যাবে না।
ইন্টারনেট শাটডাউনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না। তারুণ্য নির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করবো। তরুণদের কথা শুনব।’

অফিস করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, স্বাস্থ্য ও উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, আসিফ নজরুল, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

সারাবাংলা/জেআর/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন