বিজ্ঞাপন

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা

August 11, 2024 | 1:04 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দুই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শপথ নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোবাবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করান। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটে শপথ নেন দুই উপদেষ্টা।

শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব আলী।

এর আগে, গতকাল দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও ৫ বিচারপতি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শনিবার রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে শপথ নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেন।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব। তিনি গত বছরের (২০২৩) ২৭ জুলাই তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৫ বিসিএস ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। দেশে-বিদেশে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে চাকরি করার পর সর্বশেষ মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদ থেকে ২০২১ সালে অবসর নেন।

সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খাগড়াছড়ি থেকে ১৯৭৭ সালে এসএসসি, ১৯৭৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মরক্কো, শ্রীলঙ্কা, বেলজিয়াম ও তুরস্কে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন, কনস্যুলার রাজনৈতিক অনুবিভাগে এবং প্রটোকলে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন শাখায় সহকারী সচিব, পরিচালক ও মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পেশাগত অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা দেশে-বিদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে বৈদেশিক পরিষেবা প্রশিক্ষণ (১৯৮৮-৮৯), মৌলিক সরকারি প্রশিক্ষণ বিপিএটিসিতে (১৯৮৯-৯০), প্যারিসে ফরাসি ভাষা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ (১৯৯০-৯২), এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ (এপিসিএসএস) ২০০১ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ১৯৬৩ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি হাইস্কুল থেকে ১৯৭৯ সালে এসএসসি ও ১৯৮১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।

মনোচিকিৎসার পাশাপাশি অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে সামাজিক চেতনার মনস্ত্বত্ত (২০১৬), এপিকুরস, আধুনিকতা ও আমরা (২০১৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অফ্রয়েডীয় ফ্রয়েডবাদীগণ (২০২০) প্রভৃতি।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন