বিজ্ঞাপন

ট্রেন চালু করতে প্রস্তুত রেলওয়ে, অপেক্ষা নির্দেশের

August 11, 2024 | 4:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ট্রেন চালু করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা পেলেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেছেন, অনুমতি পেলে যেকোনো সময় লোকাল ট্রেন চালু করা যাবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনদিন সময় দরকার হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ আগস্ট) রেলভবনে সারাবাংলাকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ট্রেন চলাচল না করার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামে আমাদের অনেক কন্টেইনার লোড হয়ে আছে। এগুলো রফতানি সম্পর্কিত শিল্প কারখানার জন্য এবং চট্টগ্রামে তেল লোড হয়ে আছে যেগুলো সিলেট, শ্রীমঙ্গল, রংপুর যাবে। খুলনাতেও তেলের গাড়ি লোড হয়ে আছে। লোড হয়ে আছে চালের গাড়ি। বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে সকল তেলের গাড়িগুলো যায় সেগুলোও লোড হয়ে আছে।

তিনি বলেন, আমি সচিব মহোদয়কে (রেল সচিব) বলেছি আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি অথরিটির কাছে বলা। তারপর যেভাবে নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবে কাজ করব।

বিজ্ঞাপন

আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলে প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে মহাপরিচালক আরো বলেন, ট্রেন চালু করার জন্য দেখতে হবে রেললাইনটা ঠিকাছে কীনা। আন্দোলনের সময় যেসকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামত করা। এ কাজগুলো আমাদের মতো করে গুছিয়ে রেখেছি। যাতে নির্দেশনা পেলে ট্রেন দ্রুত চালু করতে পারি। সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তঃনগর ট্রেন হয়তো দুইটা দিন পরে চালু হতে পারে।

অন্যান্য ট্রেনগুলো আমরা দুই দিনের নোটিশেই চালু করতে পারব। কারণ যখন কারফিউ ছিল তখন একটা বিষয় ছিল। এখন তো কারফিউ নেই। তাই কোনো অসুবিধা নেই। শুধু আন্তনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে দুইদিন সময় লাগতে পারে। কারণ অনলাইন টিকেটিং এর বিষয় আর ছোটখাটো কিছু প্রস্তুতির বিষয় আছে।

সরদার সাহাদাত আলী তিনি বলেন, আর যেসকল ট্রেন চালাব না। যেগুলো ড্যামেজ হয়েছে, যেগুলোর বিকল্প আমাদের কাছে নেই।

বিজ্ঞাপন

পারাবত এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো আখাউড়াতে থাকাকালীন কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮টি কোচের সব কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে আমি এতোগুলো কোচ কোথায় পাব। এগুলো ওর্য়াকশপে নিতে হবে গ্লাস পরিবর্তন করতে হবে। গ্লাসগুলো লাগাতে হলেও বিষয় রয়েছে। কারণ একেকটি গ্লাসের একেক রকম মাপ। কোচের কোনোটা ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে। তার গ্লাসের মাপ এক রকম। আবার চায়না থেকে আনা তার মাপ আরেক রকম। এগুলো দেখে সেট করতে হবে। সব মিলিয়ে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, মেজর ট্রেন সবই আমরা এখন চালাতে পারব। দুই তিন সময় নেব। লোকাল ট্রেন আমরা একদিনের মধ্যেই নির্দেশনা পেলে চালাতে পারব। তিনি জানান, প্রস্তুতি নেওয়া আছে। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠক রয়েছে। সচিব মহোদয় সেখানে যাবেন। তারপর সিদ্ধান্ত কবে থেকে ট্রেন চলবে। ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে বলে আমরা একটা প্রাথমিক হিসাব নিরুপন করেছি। ট্রেন না চললেও তো খরচ আছে। সেটাও তো লস।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা এড়াতে গত ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী, মালবাহী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১৩ দিন পর ১ আগস্ট স্বল্প দূরত্বে চলাচলকরা ট্রেন চালু করা হলেও শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা এখনো বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন