চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চাকরি পেলেন ইশমামের ভাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘোষণার দুদিনের মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইশমামুল হকের বড় ভাইয়ের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে ইশমামের বড় ভাই মহিবুল হকের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।

এর আগে গত সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নিহত ইশমামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ ছাড়া নিহত ইশমামের নামে সড়কের নামকরণ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে এক লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন তিনি।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার আমরা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান ইশমামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং সেখানে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির আশ্বাস দেই। তারই ধারাবাহিকতায় ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুহিবুল জেলা প্রশাসনের অধীন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন।’

আরও পড়ুন- লোহাগাড়ায় সড়ক হবে ইশমামের নামে

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘কেবল ইশমাম নয়, আন্দোলনে শহিদ ও আহত ছাত্র-জনতার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। পাশাপাশি আমরা তাদের আর্থিক সহায়তা দেবো এবং তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান, তানভীর-আল-নাসীফ, সাদিউর রহিম জাদিদ ও এ কে এম গোলাম মোর্শেদ এবং লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাছান ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানুর রহমান।

গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন ইশমামুল হক (১৭)। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

পরদিন ৬ আগস্ট রাত ১১টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ইশমামকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/আইসি/টিআর