বিজ্ঞাপন

‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে পালানো ছাড়া কোনো বীরত্ব দেখি না’

August 15, 2024 | 5:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭৫ এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচ বছর শেখ হাসিনা বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। পরিবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে এক বছর পর কিংবা ছয় মাস পর দেশে আসতে পারতেন, কিন্তু তিনি আসেননি। জিয়াউর রহমানের সময় তিনি দেশে ফিরতে পেরেছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবনে পালানো ছাড়া কোনো বীরত্ব দেখি না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালক মোহাম্মদ কামালের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে নয়াপল্টনে তার বাসায় গিয়ে অর্থ সহায়তা দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়েছেন তার আত্মীয় স্বজনসহ। আজকে যারা এখন আড়ালে-আবডালে শেখ হাসিনার জন্য অশ্রুপাত করছেন তাদের মনে রাখা উচিত তিনি হেলিকপ্টার দিয়ে বোনকে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ পালিয়েছেন আর আপনারা তার জন্য মায়া কান্না করছেন।’

তিনি বলেন, ‘তাকে (শেখ হাসিনাকে) জিজ্ঞেস করুন, আপনি আমাদেরকে ফেলে গেলেন কেন? আপনার আত্মীয়-স্বজনরা কেন আমাদের সঙ্গে নিয়ে গেল না। আমি আওয়ামী লীগের ওই সমস্ত নেতা-কর্মী এখন যারা অন্ধকারে বসে তার জন্য মায়া-কান্না করছেন তাদেরকে বলি আপনাদের তো আপনার নেত্রীর সঙ্গে কথা হয় দেখলাম এক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাদের নেত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন আপনারা কি বলতে পারলেন না আপনি আপনার আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে গেলেন বোনকে নিয়ে গেলেন নেতা-কর্মীদের ফেলে গেলেন কেন?

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘পৃথিবীর যারা অসীম সাহসী নেতৃত্বে এবং দেশপ্রেমী হয় তারা নিজের দেশ রেখে নিজের নেতা-কর্মীদেরকে ফেলে রেখে যায় না। বেগম খালেদা জিয়া কী পেরেছে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনরা কত চেষ্টা করেছে পারেনি কিন্তু তখনও আপনাকে চেষ্টা করে তারা সফল হয়েছিল পরে তিনি শেখ হাসিনা অভিমান করে বললেন মইনুদ্দিনকে উনি গেলেন না কিন্তু আমি কেন যাব। উনি গেলেন না ওনার অদম্য দেশপ্রেম উনি গেলেন না ওনার এক গভীর ভালোবাসা জনগণের সে কারণে দীর্ঘ ৬-৭ বছর কারাগারের মধ্যে রোগে শোকে কাতর হওয়ার পরও তার কন্ঠ তার সাহস উদ্দম দেশের প্রতি ভালোবাসা এক অনবদ্য প্রেরণার অংশ হয়েছিল গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের ক্ষোভের যে প্রবাহ সেই প্রবাহে আমি এর আগেই বলেছিলাম আপনার রাজ সিংহাসন উল্টে যাবে ঠিকই উল্টে গেছে। পালিয়ে গেছেন তার বন্ধু প্রতিম দেশে। আত্মীয়-স্বজন সহ এটাতো কাপুরুষের কাজ আওয়ামী নেতাকর্মীরা এটা কি দেখেন না নিজের আত্মীয়-স্বজন নিজের ছেলে-মেয়েকে পার করে নিয়ে গেলেন অথচ নেতা-কর্মীদের ফেলে চলে গেলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন যখন বিজয়ের মুহূর্তে ঠিক সেই সময় রিকশাচালক কামালসহ আটজন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, এরা গণতন্ত্রের বিজয়পুত্র। এরা গণতন্ত্রের এক অনন্য অসাধারণ সারথি, এদের চালিত রথেই গণতন্ত্রের পতাকা উড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষারসহ রিকশাচালক কামালের পরিবার।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন