বিজ্ঞাপন

অবসরের আবেদন নাকচ, বরখাস্ত ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী

August 16, 2024 | 1:18 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুর রহমান। কিন্তু গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পাঠানো সেই আবেদন গ্রহণ না করে তাকে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সরকারি বিধি ও আদেশানুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন। বরখাস্তকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে যথাক্রমে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে সরকার পতনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুর রহমানের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা। পরে গত মঙ্গলবার প্রকৌশল দপ্তরের ৩২৪ জন প্রকৌশলী করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর প্রধান প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর প্রধান নির্বাহী মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠান। সে চিঠির প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও স্মারকের প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বর্ণিত কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সুনামের অধিকারী একজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীকে সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পাঠানো অন্য এক চিঠিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে আশিকুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর অবসর গ্রহণের আবেদন/প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী এ বিভাগের এখতিয়ার বহির্ভুত হওয়ায় তা বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।’

স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের প্রস্তাব কার্যকর না করে সাময়িক বরখাস্তের কারণ হিসেবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের প্রস্তাব কার্যকর হলে তিনি গ্রাচুইটিসহ অবসরকালীন অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কিন্তু সাময়িক বরখাস্ত করার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার উপর চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ, অপসারণ, পদাবনতি, বেতনবৃদ্ধি স্থগিতকরণ ও পদোন্নতি স্থগিতকরণে মতো গুরুদণ্ড আরোপ করা হতে পারে। আর বরখাস্ত হলে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

আবার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অবসর গ্রহণের প্রস্তাব কার্যকর করা হবে। তখন সুযোগ-সুবিধা পেলেও স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের প্রস্তাবের সূত্র ধরে চাকরি থাকবে না। এজন্যই করপোরেশন এ পথে হাঁটছে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই নিখোঁজ ডিএসসিসির মেয়র তাপসসহ ৮৮ জন কাউন্সিলর। গত মঙ্গলবার এরই পরিপ্রেক্ষিতে করপোরেশনের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব মেয়রের থেকে প্রধান নির্বাহীর কাছে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন