বিজ্ঞাপন

নতুন ৪ উপদেষ্টার কে কোন দফতর পেলেন

August 16, 2024 | 9:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হয়েছেন আরও চার উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের মধ্যে দফতরও বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনকেই দেওয়া হয়েছে একাধিক করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন চার উপদেষ্টাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাত ৮টার দিকে তাদের মধ্যে দফতর বণ্টনের তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন চার উপদেষ্টা হলেন— ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

নতুন নিযুক্ত উপদেষ্টাদের মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ পেয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। নন্দিত এই অর্থনীতিবিদ ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) সদস্য তিনি, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসএএনইআই) চেয়ারম্যানও।

আরও পড়ুন- অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেন আরও ৪ উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এর আগে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। শুক্রবারই সে নিয়োগের অবসান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

নতুন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পেয়েছেন তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব— বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়; এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়। ফাওজুল কবির খানও একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। সবশেষ ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নতুন করে যুক্ত হওয়া আরেক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর, বর্তমানে বিজিবি) মহাপরিচালক ছিলেন। এরপর ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ওই বছর তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরের বছর ২০১০ সালে তিনি অবসরে যান।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও অবশ্য দফতর পুনর্বণ্টন হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন