বিজ্ঞাপন

সমন্বয়ক পদ ছাড়লেন চবি’র পাঁচজন

August 16, 2024 | 9:36 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ও চারজন সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া পাঁচজন হলেন- সুমাইয়া শিকদার, আল মাসনূন, ধ্রুব বড়ুয়া, ঈশা দে ও সাইদুজ্জামান রেদোয়ান। এদের মধ্যে সুমাইয়া শিকদার সমন্বয়ক এবং বাকি ৪ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটালেও পরবর্তীতে নানা ধরনের সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। আন্দোলনের সময় চবির সমন্বয়ক সংখ্যা ছিলো ২২ জন। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট চবিতে সমন্বয়ক সদস্য সংখ্যা হয় ৩০ জন। নতুন যে কয়েকজন কমিটিতে যুক্ত হয়েছে, তাদের বিষয় নিয়েও মূল সমন্বয়করা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

‘এমনসব ঘটনা, জবাবদিহিতাহীনতা ও ট্যাগা-ট্যাগির ফ্যাসিস্ট বয়ান আমাদের মনে স্বাভাবিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। তাই আমরা স্ব স্ব সমন্বয়কের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।’

উপাচার্য, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের পদত্যাগের আন্দোলন ও তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথাও তারা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন।

পদত্যাগকারী সহ-সমন্বয়ক আল মাশনুন বলেন, ‘সমন্বয়কদের কাজ হলো সকল শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে একসাথে কাজ করা। সমন্বয়করা সেটা না করে চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা আলোচনা করেনি। তাই সমন্বয়ক হিসেবে আমাদের আর থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই ২২ জনকে সদস্য করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নিরাপত্তাজনিত কারণে কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ।

এরপর ৫ আগস্ট মোট ৩০ জনকে সদস্য করে পুনরায় সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এমআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন