বিজ্ঞাপন

মনের বাঘই খেল বাংলাদেশকে?

June 4, 2018 | 11:01 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

বনের বাঘের বদলে কি মনের বাঘই খেল বাংলাদেশকে? সিরিজের আগেই আফগান বোলিং নিয়ে এত বেশি কথা হচ্ছিল, সেই রশিদ খান-মুজিবদের খেলতে হিমশিম খেয়ে গেল বাংলাদেশ। কাল দেরাদুনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ রানে হারার পর প্রশ্ন উঠে গেছে অনেক কিছু নিয়েই।

প্রশ্ন উঠতেই পারে, সাকিব আল হাসান কেন মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে মাত্র এক ওভার বল করালেন? ১৪ তম ওভারে বল হাতে পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, প্রথম ওভারেই তুলে নেন দুই উইকেট। নজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর একই ওভারে দারুণ এক বলে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নবীকে। অথচ মাহমুদউল্লাহকে আর বলই হাতে দেননি সাকিব। পরে ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতেও প্রশ্ন উঠেছিল। সাকিব তার মতো করেই উত্তর দিলেন, ‘দেখুন, এখন এক ওভার দেওয়ার পর এত কথা হচ্ছে। সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল। কিন্তু এরপর মাহমুদউল্লাহ এসে যদি ছয় খেতেন তাহলে এত কথা হতো না।’ ম্যাচের পর লিটন দাসকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এ নিয়ে। তিনিও সাকিবের কথাটাই তোতা পাখির মতো আউড়ে বলেছেন, এটা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত।

কিন্তু তাতে তো সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন কমে না। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের উইকেট ধীরগতির হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু সেখানেও খেলানো হলো তিন পেসার। শেষ ৪ ওভারে ৬৪ রান নিয়ে পেসাররাই ম্যাচের গতিপথটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তানের দিকে। বিশেষ করে মোস্তাফিজের জায়গায় উড়ে এসেই আবুল হাসান রাজুকে নামিয়ে দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল, সে প্রশ্নও উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন যেমন উঠছে, রশীদ খানদের ঠেকানোর কৌশল নিয়েও। আফগানরা তাদের সেরা অস্ত্রকে যখন আনে, তখনও ম্যাচে ভালোমতোই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মুখোমুখি প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড মুশফিকুর রহিম, পরের বলে গুগলিটা বুঝতেই পারলেন না সাব্বির রহমান। রশীদ এখন বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি বোলার, কিন্তু তাকেও যে সামলানো যায় সেটা আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দেখিয়েছে ভালোমতোই। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রশীদের বল খেলার আগেই যেন ছটফট করে উঠলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, রশীদকে ঠেকানোর কোনো পরিকল্পনা যদি থেকেই থাকে সেটা তারা ভালোভাবে রপ্ত করে আসেননি। ৩ ওভার বল করেই ৩ উইকেট নিয়ে রশীদ তাই হয়ে গেছেন ম্যাচ সেরা।

তার আগে শেষ দিকে বোলারদের নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই। রাহী, রাজুরা লেংথ হারিয়ে খুঁজেছেন, স্টানিকজাইরা শুধু সেই বাজে বলগুলোর ফায়দা লুটেছেন। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক দুই ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর আর কেউ বল হাতেই পাননি। অন্যদিকে আফগানরা তাদের তিন স্পিনারকে কাজে লাগিয়েছে পরিকল্পনা করেই।

লিটন অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, এই উইকেটে ১৬৭ রান তাড়া করাটা কঠিনই। কিন্তু তা যত কঠিনই হোক, এই রান তাড়া করে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়াটাও কাজে কথা নয়। প্রশ্নটা তাই আবারও করতে হচ্ছে, মনের বাঘই খেল বাংলাদেশকে?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন