বিজ্ঞাপন

শুল্ক জটিলতা দূর করার আহ্বান ইস্পাত শিল্প উদ্যোক্তাদের

August 17, 2024 | 6:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: লোহা ও ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করার ক্ষেত্রে পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজিকরণ এবং বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল এবং রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে মাসুদুল আলম মাসুদ। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই‘র পরিচালক মো. আমির হোসেন নূরানী। এসময়, লোহা ও ইস্পাত শিল্পসহ সব ধরণের শিল্প কারখানার জন্য গুণগত এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে যেসব তরুণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এমনকি শিশুরা জীবন দিয়েছেন, এসব শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহত হয়ে এখনও যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’

বিজ্ঞাপন

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে লোহা ও ইস্পাত শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শিল্পের বিদ্যমান সংকট দূর করতে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।’

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে, ব্যাংক সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, আয়করের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানো, এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, যৌক্তিক শুল্কায়ন মূল্যের আলোকে শুল্কায়ন করার বিষয়ে আলোকপাত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বিজ্ঞাপন

সভার শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার ৪০ কেজি। প্রতিবেশি দেশ ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার প্রায় ৯০ কেজি। বাংলাদেশে আকরিক লোহার খনি না থাকার কারণে চাহিদার প্রায় শতভাগ ইস্পাত আমদানি করতে হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত আমদানি হয় দেশে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বর্তমান পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আজিজুল হক ও মো. নিয়াজ আলী চিশতিসহ অনেকে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন