বিজ্ঞাপন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করলে থানায় দেওয়ার আহ্বান

August 17, 2024 | 8:03 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি বা বিশেষ কোনো অন্যায় সুবিধা দাবি করলে তাদের থানায় সোপর্দ করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আহতদের পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি নাম-সর্বস্ব সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কের উৎপাত বেড়ে গেছে। অনেক বেশি সেবা-সুবিধা দিতে গিয়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করছে। সেজন্য আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার জন্য কোনো অর্থ লাগবে না।’

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যানার টানিয়ে ফান্ড কালেকশন করা হচ্ছে। আমরা হাতেনাতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ একটা পক্ষকে ধরেছি। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৫ জুন থেকে যখন আন্দোলন করছে আজ পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত না। আমাদের যদি কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয় তবে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।’

বিজ্ঞাপন

এ দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। হাসনাত আবদুল্লাহ এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘গতকাল থেকে আমরা আহতদের দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করছি। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই– ‘ফিলিস্তিনের রাফা ক্যাম্প’ বাংলাদেশেও আছে এবং সেটি হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতটাই ভেঙেছে পড়েছে যে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যালের কোনো অমিল নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার আমাদের স্বাস্থ্যখাতের জানাজা করে দাফন-কাফন সম্পন্ন করে দিয়েছে। এই ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাতকে ফের পুনরুজ্জীবিত করতে হলে আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, যদি লাল ফিতার দৌরাত্ম্য না থাকে, রাজনৈতিক আধিপত্য না থাকে, যদি কোনো ধরনের পলিসি ম্যানিপুলেশন না থাকে, স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা বা টেন্ডারবাজি না থাকে তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে এই খাতকে জনমুখি হিসেবে তারা আমাদের উপহার দিতে পারবেন।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন