বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

June 6, 2018 | 11:24 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু-২ তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৬ জুন) সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণত একটি স্যাটেলাইটের বয়স ধরা হয় ১৫ বছর। যা তৈরি করতে ৫ থেকে ৬ বছর লেগে যায়। সেজন্য এখন থেকেই বঙ্গবন্ধু-২ তৈরির প্রস্ততি নিচ্ছি। একটা থাকতে থাকতে আরেকটি যেন চালু হয়ে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের সময় শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ তৈরি করবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাবো।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই আমরা। যখন যে প্রযুক্তি আসবে সেটা যেন আমরা গবেষণা, ধারণ ও ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেবো। যখনই যা আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে সেটাই আমরা চিন্তাভাবনা করবো।’

সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দেশ-বিদেশের সব বাঙালি খুশিতে উদ্বেলিত। সবার চোখে আনন্দ অশ্রু। সব মানুষ যখন এত খুশি, তখন বিএনপি শুধু দুঃখী। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আমরা কেন পারলাম না?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘স্যাটেলাইটের মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের। সরকার যেভাবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হয় সেইভাবে বাংলাদেশ সরকারই এর মালিক। তবে এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যারা যতটুকু ভাড়া নেবে তারা ততটুকু মালিক হবে। এর ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে ২০টি। বাকি ২০টি আমরা সার্কভুক্ত দেশসহ আশপাশের  দেশগুলোর কাছে ভাড়া দিতে পারবো। স্যাটেলাইটের ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টেলিভিশন টু হোম) টেকনোলজি ব্যবহারের জন্য দু’জনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বিএনপি দু’জন মালিক বলতে কি বুঝাতে চেয়েছে তা বোধগম্য নয়। অর্বাচীনের মতো এই ধরনের কথা বলা, জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এরা কি মানুষকে ভালোবাসে না? এরা দেশ চালালে দেশের উন্নতি হবে কী করে? ’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের চিন্তাভাবনা এত সংকীর্ণ যে এই অঞ্চলে যখন সাবমেরিন ক্যাবল আসে তখন বিনা পয়সায় দেওয়া হলেও বিএনপি সরকার তথ্য পাচার হবে বলে তারা সেটি নিল না। এই কথা বলে আমাদেরকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। জানি না বিএনপির কাছে কী এমন গোপন তথ্য থাকে যে কুক্ষিগত রাখতে চায়।’

স্যাটেলাইটের সুবিধা পাওয়া বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে তার কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। সিগন্যাল দিতে শুরু করেছে। একবার যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন কোনও সমস্যা হবে না। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের যেসব এলাকায় কম্পিউটার, টেরিস্ট্রিয়াল ও ইন্টারনেট সুবিধা কম সেখানকার মানুষের বেশি কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনও সন্দেহ করার কিছু নেই। এটা নিয়ে কোনও দুঃচিন্তার দরকার নেই। আর এটুকু বলবো ‘না বলা কথাটি রবে না গোপনে’।

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন