বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের বিশ্লেষণ: গ্রুপ ‘এ’ প্রিভিউ

June 6, 2018 | 4:07 pm

সারাবাংলা ডেস্ক 

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ উপলক্ষে আজ থেকে সারাবাংলা.নেটে শুরু হচ্ছে দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ। শুরুতে থাকছে মিশর, রাশিয়া, উরুগুয়ে ও সৌদি আরবকে নিয়ে গ্রুপ ‘এ’।

 

রাশিয়া

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে বাজির ঘোড়া হতে পারত তারাই। কিন্তু খোদ নিজেদের দেশেই রাশিয়ার পক্ষে বাজি ধরার লোক কম।  এই মুহূর্তে রাশিয়ার ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৬৬। বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে তাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকে আছে হাতেগোণা কয়েকটি দল। তবে যে গ্রুপে পড়েছে, সেখান থেকে পরের পর্বে না উঠলে রাশিয়া ভীষণ হতাশই হবে।

বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অবসর নেওয়ায় রাশিয়া একটা ধাক্কা খেয়েছে। ফর্মও ভালো নয় খুব একটা।  ২০১৬ ইউরোর  পর রাশিয়া ১৯টি প্রীতি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র ছয়টিতে (সেই জয়গুলো এসেছে ঘানা, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও ক্লাব দল ডায়নামো মস্কোর বিপক্ষে)।২০১৭ অক্টোবরের পর থেকে কোনো জয় নেই। তবে স্মোলোভ, জাগোয়েভদের আক্রমণ নিজেদের দিনে যে কোনো কিছু করে ফেলতে পারে।

বিশ্বকাপে

বিজ্ঞাপন

১০ অংশগ্রহণ

১ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

০ চ্যাম্পিয়ন

বিজ্ঞাপন

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৫৮

শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

সেরা অর্জন চতুর্থ স্থান (১৯৬৬)

 

সৌদি আরব

১৯৯৪ থেকে টানা চার বিশ্বকাপে তারা ছিল নিয়মিত। এরপর এক যুগেরও বিরতির পর সৌদি আরব আবার ফিরছে বিশ্বকাপে। তবে বিশ্বকাপে কতটুকু কী করতে পারবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মাত্র গত ডিসেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন কোচ হুয়ান আন্তোনিও পিজ্জি, এই সময়ে কতটা কী করতে পারেন সেটা নিয়ে আছে সংশয়।

গ্রপে সেই অর্থে অবশ্য খুব বেশি কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না সৌদি আরবকে। তবে সমস্যা হতে পারে খেলোয়াড়দের বাইরের লিগে খেলার অভিজ্ঞতার অভাব। কমবেশি সবাই খেলেন ঘরোয়া লিগে। সেই ঘাটতি মেটাতে গত জানুয়ারিতে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে লা লিগার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলানোর ব্যবস্থা করেছিল সৌদি ফেডারেশন। কিন্তু কেউই তেমন একটা মাঠে নামার সুযোগ পাননি।

বিশ্বকাপে

৪ অংশগ্রহণ

০ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৯৪

সর্বশেষ অংশগ্রহণ ২০০৬

সেরা সাফল্যঃ শেষ ষোলো (১৯৯৪)

 

উরুগুয়ে

প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল, প্রথম চারবারের দুবারই শিরোপা উঠেছে তাদের হাতে। এরপর লম্বা একটা সময় বিস্মৃতিতে হারিয়ে যাওয়ার পর উরুগুয়ে আবার ফিরেছে বিশ্বকাপে। সেই অর্থে ঠিক পরাশক্তি বলা যাবে না, তবে নিজেদের দিনে যে কোনো দলকেই বিপদে ফেলার সামর্থ্য আছে সুয়ারেজ-কাভানিদের।  বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের দুজনই একসঙ্গে খেলবেন। অন্য অনেক দলেই যেমন দুজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকারকে একসঙ্গে খেলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান কোচরা, উরুগুয়েতে তেমন হয়নি। কাভানি-সুয়ারেজের যুগলবন্দিই তাদের বড় সম্পদ।

আগের চারবারের মতো এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নয়, দুইয়ে থেকেই পা রেখেছে। মধ্যমাঠ ঠিকঠাক খেললে ভালো কিছুর আশা উরুগুয়ে করতেই পারে।

বিশ্বকাপে

১২ অংশগ্রহণ

২ ফাইনাল

২ চ্যাম্পিয়ন

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩০

শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

সেরা অর্জন চ্যাম্পিয়ন (১৯৩০, ১৯৫০)

 

মিশর

মিশরের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা এখন অনেকটাই, মোহামেদ সালাহ ঠিক সময়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন তো? চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ৩০ মিনিটে কাঁধে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরে অবশ্য জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে খেলার আশা ছাড়ছেন না। ফিট সালাহকে বিশ্বকাপে ‍শুরু থেকেই পাওয়া যাবে কি না, তার ওপরেই হয়তো নির্ভর করছে মিশরের বিশ্বকাপ ভাগ্য।

সালাহ আক্রমণের বড় ভরসা হলেও মিশরের সব অস্ত্র রক্ষণও। কোচ হেক্টর কুপারের অধীনে গত ৩০ ম্যাচের কোনোটিতেই দুইয়ের বেশি গোল হজম করেনি মিশর। সালাহ ছাড়া চোটের শঙ্কা আছে আরও।  আর্সেনালের মোহাম্মদ এলনেনি মধ্য মাঠের বড় ভরসা, তিনিও ফিট হয়ে উঠবেন কি না সেটা জানা যাবে সময় হলেই।

বিশ্বকাপে

২ অংশগ্রহণ

০ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

০ চ্যাম্পিয়ন

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩৪

শেষ অংশগ্রহণ ১৯৯০

সেরা অর্জন প্রথম-পর্ব

 

সারাবাংলা/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন