বিজ্ঞাপন

রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই থাকছে পাকিস্তান

June 7, 2018 | 12:28 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

দুই দল, ২২ খেলোয়াড়, তিন রেফারি। ১২০ মিটারের ব্যবধানে দাঁড়িয়ে থাকা দুই গোলপোস্টের মাঝে টানা ৯০ মিনিট অবিরাম ‘ছোটাছুটি’। অথচ গ্যালারি-ভর্তি দর্শকের নজর দুলতে থাকে কেবল একটি বস্তুকে কেন্দ্র করে। শুধুই কি গ্যালারি? ক্যামেরার চোখে বিশ্বের শত কোটি মানুষের দৃষ্টি আটকে থাকে ওই একটি জিনিসেই। আর তা হলো, ফুটবল। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপ, তবে তো কথাই নেই।

রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার কোন বলে খেলা হচ্ছে? কে তৈরি করছে এই বল? এই নিয়ে মানুষের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। এবার রাশিয়া-২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা হবে টেলস্টার-১৮ নামের বল দিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বলের নামটি পরিচিত, তার থেকেও বেশি আলোচনায় এসেছে এবার মেসি-রোনালদো-গ্রিজম্যান-নেইমাররা যে বল পায়ে মাঠ মাতাবেন সেটি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে।

ব্রাজিলে গত বিশ্বকাপে খেলা হয়েছিল ব্রাজুকা বল দিয়ে। ব্রাজুকার মতো টেলস্টার-১৮ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। গত বিশ্বকাপে ব্রাজুকার দ্বিতীয় সাপ্লাইয়ার ছিল শিয়ালকোটের ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফরোয়ার্ড স্পোর্টস। এবারো শিয়ালকোটের এই প্রতিষ্ঠানটিই পেয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে বল তৈরির কাজটি।

বিজ্ঞাপন

ফরোয়ার্ড স্পোর্টস এর প্রধান নির্বাহী খাজা মাসুদ জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের যে আবারো আমরাই বিশ্বকাপের বল তৈরির কাজটি হাতে পেয়েছি। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই টেলস্টার-১৮ তৈরি করেছি। ফিফার এতোবড় একটি ইভেন্টের সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠান জড়িত হতে পেরে খুশি। পাকিস্তান ফুটবল দল বিশ্বকাপে অংশ নিতে না পারলেও বল তৈরি করেই আমাদের দেশটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাচ্ছে। বলা যায় পাকিস্তান রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই উপস্থিত থাকছে।‘

তবে, রাশিয়ায় মোট কতটি বল পাঠিয়েছে পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড স্পোর্টস, সেটা প্রকাশ হয়নি। এই কারখানায় বিখ্যাত ব্র্যান্ড এডিডাস তাদের বিভিন্ন ফরমায়েশের কাজ করিয়ে থাকে। এডিডাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বকাপে তারা ঠিক কতটি বল সরবরাহ করছে তা জানা যায়নি। তবে, মেগা এই ইভেন্টের বল তৈরির কাজ হাতে পেয়ে মাসে প্রায় ৭ লাখ বল তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল শিয়ালকোটের প্রতিষ্ঠানটি। সময়মতো বিশ্বকাপের বলগুলো হস্তান্তর করার জন্য কারখানার কর্মীরা দিনের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়েও বেশি সময় ধরে কাজ করেছে। ফরোয়ার্ড স্পোর্টস জার্মানির বুন্দেসলিগা, ফ্রান্সের লিগ ওয়ান এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে ফুটবল সরবরাহ করে।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া বিশ্বকাপেও ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মো বন্ডেড ফুটবল। এবারো হাতে সেলাই করা ফুটবল সরবরাহ করেছে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড স্পোর্টস।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন