বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সবচেয়ে বড় সাফল্য: অর্থমন্ত্রী

June 7, 2018 | 2:19 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী কার্যক্রম ও গণহত্যা সংগঠনকারীদের ব্চিারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করাকেই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কার্যক্রম ও গণহত্যা সংগঠনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রধান অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শাস্তি কার্যকর করা।’

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত মোট ৫৩টি মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৩১টি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলি বিচারাধীন। আপিল বিভাগ কর্তৃক চূড়ান্ত সাতটি মামলার মধ্যে ছয়টি মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মুহিত বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার হয়ে এই ঘৃণ্য অপরাধীরা যখন আমার স্বাধীন দেশের পতাকাশোভিত গাড়িতে বিচরণ করেছে, তখন আমরা ভীষণ বিচলিত হয়েছি। জাতি হয়েছে কলঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক অথবা জাতীয়— কোনো হুমকির কাছেই নতি স্বীকার করেননি। তার অনন্য সাহসী পদক্ষেপ জাতিকে কলঙ্গমুক্ত করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি আমাদের অপরিমেয় ঋণ কিছুটা লাঘব হয়েছে।’

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সংসদে উপস্থিত হন মুহিত। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শুরু করেন বাজেট বক্তৃতা। এ সময় সংসদ বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুহিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন