বিজ্ঞাপন

ছোট ফ্ল্যাটে ভ্যাট বাড়ছে, মাঝারি ফ্ল্যাটে কমানোর প্রস্তাব

June 7, 2018 | 4:22 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছোট আকারের ফ্ল্যাট কেনায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটে মূল্য সংযোজন কর দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া বড় আকারের ফ্ল্যাট কেনায় মূল্য সংযোজন কর আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

গত অর্থবছরে ১১০০ বর্গফুট আকার পর্যন্ত ফ্ল্যাটে মূল্য সংযোজন কর ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এই অর্থবছরে তা করা হয়েছে ২ শতাংশ।

গত অর্থবছরে ১১০১ বর্গফুট থেকে ১৬০০ বর্গফুট ফ্ল্যাটে মূল্য সংযোজন কর ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এবার ওই ফ্ল্যাটে কর কমিয়ে ২ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ১৬০০ বর্গফুট কিংবা তার চেয়ে বেশি আকারের ফ্ল্যাটে মূল্য সংযোজন কর আগের মতো ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বাজেট প্রস্তাবে পুরনো ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন করের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফ্ল্যাট কেনার পর ঘর সাজানোর আসবাবপত্র কিনতে গেলে আগামী অর্থবছর বাড়তি চাপে পড়তে হবে ক্রেতাদের। বর্তমানে আসবাবপত্র উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট আছে ৬ শতাংশ। নতুন অর্থবছর তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। আর আসবাবপত্র বিপণন পর্যায়ে ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫শ ৭৩ কোটি টাকা। পুরো বাজেটে খরচের চাহিদা মেটাতে অর্থমন্ত্রী তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে চান, যা মোট জিডিপি’র ১৩.৪ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর থেকে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর ব্যবস্থা থেকে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা এবং কর ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া এডিপিতে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাগুলোর জন্য আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতি থাকছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’র ৪.৯ শতাংশ। অবশ্য বাজেটে চার হাজার ৫১ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশা থাকছে। ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি দাঁড়াবে এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪.৭ শতাংশ।

ঘাটতি মেটাতে অর্থমন্ত্রীর দরকার হবে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। ঘাটতির বাকি ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যবস্থা থেকে সংগ্রহ করা হবে ২৯ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন