বিজ্ঞাপন

বরাদ্দ বেড়েছে, ‘লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা’

June 7, 2018 | 5:16 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ২২ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৪ হাজার কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতের জন্য রাখা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এ দুটি খাতে যথাক্রমে ২০ হাজার ৯৮ কোটি, এবং ২১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির অন্যতম উপাদান দক্ষ মানবসম্পদ। আমরা দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের শক্ত ভিত রচনা ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রসারের ওপর জোর দিয়েছি।

প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার প্রসারে আমরা এরইমধ্যে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছি। এখন আমরা মনোযোগ দিতে চাই জীবনমানে মৌলিক পরিবর্তন আনার উপযোগী শিক্ষা প্রদান এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার উন্নত পরিবেশ গঠনের দিকে। আমরা মনে করি, জীবনের শুরুতে একটি শিশু যদি ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ, কর্মনৈপুণ্য ও পারস্পরিক সহমর্মিতার বোধ নিয়ে বেড়ে উঠে সে শিশু হয়ে উঠতে পারে উন্নত, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের রূপকার। শিশুদের উপযোগী করে এসব মৌলিক শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটানো প্রয়োজন।

বর্ধিত চাহিদার নিরিখে আমরা আমাদের চলমান কার্যক্রম-যেমন উপবৃত্তি, পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ইত্যাদির পরিধি বাড়াব। পাশাপাশি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক ওয়াশব্লকসহ ৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ; ৬৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ, ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক কক্ষ, ৫ হাজার বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও ৩০ হাজার খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় আরো ১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবো। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সকল ইউনিয়ন ও কয়েকটি শহরে আইসিটি বেইজ্‌ড কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ৬৪টি জেলায় ৬৪টি জীবিকায়ন ও জীবনব্যাপী শিখনকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমরা শিক্ষকদের জন্য চলমান প্রশিক্ষণের বাইরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রদের জন্য গণিত অলিম্পিয়াডের কৌশল প্রয়োগ করে গণিত ভীতি দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাখাতে বাজেট বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে মেধা-মূল্যায়ন, শিক্ষা কার্যক্রমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ প্রসার এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের বিষয়টি বর্তমানে প্রাধান্য পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পেতে থাকবে। ‘সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২০০ সরকারি কলেজে প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষার্থী ও ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ৩২৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এসব প্রকল্পের আওতায় মাল্টিমিডিয়াসহ শ্রেণিকক্ষ, ল্যাংগুয়েজ-কাম-আইসিটি ল্যাব, হোস্টেল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাব ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। তদুপরি, মহাবিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার ৩৪০টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ এবং ২ হাজার ১২০টি স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বল্প সময়-ব্যয়-যাতায়াতের (time-cost-visit) মাধ্যমে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের জন্য ২৩টি উদ্ভাবনমূলক ধারণার পাইলটিং করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য সকল বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগে প্রশ্নব্যাংক তৈরির চেষ্টা করছি আমরা।

সারাবাংলা/এমএস/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন