বিজ্ঞাপন

বিকেন্দ্রীকরণে শাসন কাঠামোর ঢালাও সংস্কার চান অর্থমন্ত্রী

June 7, 2018 | 6:07 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাসহ দেশের শাসন কাঠামোর ঢালাও সংস্কার দাবি জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, জনসংখ্যায় ও এলাকায় আমাদের এক একটি জেলা পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশের চেয়ে বড়। আমরা এখন উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রস্তুত। এটি করতে হলে শাসন কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

বাজেট বক্তৃতায় শেষের দিকে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবশেষে আমার প্রিয় বিষয় উচ্চতর প্রবৃদ্ধি নিয়ে কিছু কথা না বলে পারছি না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে নেওয়া যায়। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন ক্ষমতা ও দায়িত্বের প্রতিসংক্রমণ। সেজন্য স্থানীয় সরকারকে ঢালাওভাবে সংস্কার করতে হবে। সে প্রয়োজনটি সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে বলা আছে।’

বিজ্ঞাপন

আবদুল মুহিত বলেন, সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, শাসনতান্ত্রিক সংস্কার করতে হলে আমাদের ৬৪টি জেলা ও ৯টি মহানগরে স্বশাসিত ও স্বয়ম্ভর সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ সরকারগুলোর জন্য তাদের নিজস্ব আমলাতন্ত্র বহাল করতে হবে। তাদের দায়িত্ব ও কাজের তালিকা করতে হবে। কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও জেলা সরকারের যৌথ দায়িত্ব ও এর সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে। এ কাজটি করতে পারলে সহজেই জেলা সরকারের গঠন প্রক্রিয়া স্থির করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ও জেলা সরকারের মধ্যে রাজস্ব আদায় ও বণ্টনের নীতি নির্ধারণকেই এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে কঠিন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আমার বিবেচনায় রাজস্ব আদায়ের প্রধান দায়িত্ব সরকারেই থাকবে। জেলা সরকার খানাভিত্তিক সম্পদ কর ও নির্দিষ্ট সেবার জন্য আদায় করবে। মোট জাতীয় বাজেটের মোটামুটি ষাটোর্ধ্ব শতাংশ ব্যয়ের দায়িত্ব হবে জেলা সরকারের। এ ব্যবস্থাটি আগামী নির্বাচনের পরে পরেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচনি ইশতেহারে বিভিন্ন দলকে এ বিষয়ে তাদের ধারণা ও কার্যক্রম জানাতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, জনসংখ্যা ও আকারে আমাদের একেকটি জেলা পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশের চেয়ে বড়। তাই তাদের সেবার মান ও উন্নয়ন উদ্যোগ সবার চেয়ে ভালো হতে হবে। দায়িত্বের বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাসহ শাসন কাঠামোকে ঢেলে সাজাতে না পারলে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না কতদিনে আমার এ আশা বাস্তবে রূপ লাভ করেব। কিন্তু প্রায় দুই দশক ধরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেভাবে হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা এখন প্রস্তুত। সেটি করতে হলে শাসন কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবেই হবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আরও পড়ুন-

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ জরুরি’

বিজ্ঞাপন

বাজেট বক্তৃতা: সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ

নিউইর্য়কের আদলে মেট্রো যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ চান মুহিত

‘১৬ কোটি মানুষের অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধের সাধ্য কারো নেই’

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সবচেয়ে বড় সাফল্য: অর্থমন্ত্রী

বিশ্বভিক্ষুক বলে অবহেলিত হয়েছি আজ সফল অর্থমন্ত্রীর স্থান পাচ্ছি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন