বিজ্ঞাপন

ঢাকায় সক্রিয় জাল টাকা তৈরির ১০ চক্র

June 8, 2018 | 4:33 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে জাল টাকা তৈরির বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় থাকে। এর মধ্যে ঢাকায় সক্রিয় রয়েছে অন্তত ১০টি চক্র। এই ১০ চক্রের একটিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এই চক্রটি ঈদকে সামনে রেখে অন্তত ৪ থেকে পাঁচ কোটি টাকা বাজারে ছেড়েছে। আরও চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই চক্রের সব সদস্য গোয়েন্দাদের জালে আটকে যায়।’

শুক্রবার (৮ জুন) বিকেল ৩টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সারাদেশে অন্তত ১৫টি চক্র জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি চক্র ঢাকায় কাজ করে। এদের মধ্যে ৪টি চক্র গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। এছাড়া ৩টি চক্র পলাতক রয়েছে। বাকিদের মধ্যে একটি চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, জাকির হোসেন, রাজন শিকদার রাজু, মো. হানিফ, খোকন শাওন, মো. রিপন মিয়া, মনির হোসেন, সোহরাব হোসেন, জসিম উদ্দিন ও লাবনী বেগম। বাকি ২টি চক্রকে খুঁজছে পুলিশ।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ জুন বিকেলে রাজধানীর কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন বউ বাজার এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। প্রায় ২ ঘণ্টার অভিযানে জাল টাকা তৈরির ওই কারখানা থেকে ৫৬ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। আরও যত কাগজ ও কালি উদ্ধার করা জয়েছে তা দিয়ে অন্তত আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা বানানো যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে এই জাল টাকার চক্র যতো টাকা বাজারে ছেড়েছে তার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। যাদের মাধ্যমে টাকা বাজারে ছাড়া হয়েছে তাদেরও খুঁজছে পুলিশ।’

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়া জাল টাকা তৈরির কারিগর জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতি ১০ লাখ টাকা বানাতে খরচ হয় মাত্র সাত হাজার টাকা। আর প্রতি ১ লাখ টাকা বিক্রি হয় মাত্র ১০ হাজার টাকায়। সেটি দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে বিক্রি হয় ২২ হাজার টাকায়।’

বাজার থেকে বসুন্ধরা এ ফোর সাইজের কাগজ ক্রয় করে তা বিশেষ আঠা দিয়ে শুকানোর পর টাকা হিসেবে প্রিন্ট করা হয়। এরপর সেই প্রিন্টের কাগজ কয়েক ধাপে পেইন্টিং করার পর আসল টাকার মতো তৈরি করা হয়। ওইসব টাকা শপিং করতে গিয়ে ভাঙ্গানোও হয় বলে জানান রফিক। এজন্য রাজুর স্ত্রী লাবনী বেগম এ কাজ করত বলে জানান রফিক।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন