বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের বিশ্লেষণ: গ্রুপ ‘ডি’ প্রিভিউ

June 9, 2018 | 12:09 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারাবাংলা.নেটে প্রতিদিন যাচ্ছে গ্রুপগুলো নিয়ে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ। আজ থাকছে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার গ্রুপ ‘ডি’।

আর্জেন্টিনা
আরও একটি বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার দুয়ারে। আরও একবার প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, এবার হবে তো? ৩২ বছর হয়ে গেছে, দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই ট্রফিতে চুমু খাওয়ার পর আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য অনন্ত আক্ষেপ আর শেষ হয়নি। লিওনেল মেসির সম্ভবত এবারই শেষ সুযোগ। সেই আক্ষেপ কি ঘুঁচবে?

হোর্হে সাম্পাওলিকে খুঁজতে হচ্ছে অনেক প্রশ্নের উত্তর। প্রথম প্রশ্ন, গোলপোস্টের নিচে কে দাঁড়াবেন? গত এক যুগ ধরে সার্জিও রোমেরোই আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট সামলেছেন, এবারও তার হাতেই থাকার কথা ছিল গ্লাভস। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছিটকে যাওয়ায় এখন বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে সাম্পাওলিকে। চোটের থাবা লেগেই আছে আর্জেন্টাইন শিবিরে, সর্বশেষ ছিটকে পড়েছেন ওয়েস্টহামে খেলা মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল লানজিনি। সাম্পাওলি ফর্মে থাকা ইকার্দিকে নেননি, আবার আগুয়েরোর ফিটনেস নিয়েও আছে সংশয়। এত সব ‘যদি কিন্তু’ কি জয় করতে পারবে আর্জেন্টিনা?

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা
১৬ অংশগ্রহণ
৫ সেমিফাইনাল
৫ ফাইনাল
২ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩০
শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

ক্রোয়েশিয়া
কাগজে কলমে ক্রোয়েশিয়ার দলটা দেখলে মনে হবে, নিজেদের দিনে তারা যে কাউকেই হারিয়ে দিতে পারে। রিয়ালের মদ্রিচ ও কোভাচিচ, বার্সেলোনার রাকিতিচ, জুভেন্টাসের মানজুকিচ ও ইন্টারের পেরিসিচের মতো খেলোয়াড় যে দলে আছে, তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। রক্ষণেও আছে করলুকা ও লভরেনদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কিন্তু তারপরও ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

সেটার কারণ অনেক। এমনিতেই ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশন নানান রকম দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়। তার ওপর খেলোয়াড়েরা নিজেদের মধ্যেও যেন তেমন ঐকবদ্ধ নন। নামি দামি সব ক্লাবে খেলেও জাতীয় দলের জার্সি চড়ালে তারা হয়ে পড়েন বিবর্ণ। গত ইউরোতে পর্তুগালের সঙ্গে ম্যাচে যেমন হতশ্রী খেলেই বিদায় নিতে হয়েছে। এবারও কি তেমন কিছু হবে? তবে, সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সেনেগালকে হারিয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে নামবে ক্রোয়েশিয়ানরা।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া
৪ অংশগ্রহণ
১ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৯৮
শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

আইসল্যান্ড
বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়াটাই তাদের জন্য একটা রূপকথা। যে দেশে সাকুল্যে মাত্র সাড়ে তিন লাখের বাস, তারা যে শুধু অংশ নেওয়ার জন্য অংশ নেয়নি সেই প্রমাণ দিয়েছিল গতবারের ইউরোতে। সবাইকে চমকে জায়গা করে নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের অংশ নেওয়াটা যে শুধু চমক নয়, সেটা তারই প্রমাণ।

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা অবশ্য অনেক দিনের পরিকল্পনার ফসল। দলের সব খেলোয়াড় নিজেদের খুব ভালোভাবে চেনেন, দাঁতের ডাক্তার থেকে কোচ বনে যাওয়া কোচ হ্যালগ্রিমসন দলের সবাইকে খুব ভালোভাবেই জানেন। রক্ষণই তাদের মূল শক্তি, ইউরোতে সেই প্রমাণও রেখেছিল। আক্রমণে মূল ভরসা এখনও গিলফি সিগুর্ডসন। বাছাইপর্বে ক্রোয়েশিয়া, তুরস্কের গ্রুপ থেকে সরাসরি জায়গা করে নেওয়াও চাট্টিখানি কথা নয়। বিশ্বকাপে কি চমকে দিতে পারবে আইসল্যান্ড?

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ: এবারই প্রথম

বিজ্ঞাপন

নাইজেরিয়া
সেই ১৯৯৪ বিশ্বকাপে প্রথমবার নেমেই সবাইকে চমকে দিয়েছিল নাইজেরিয়া, নামের পাশে জুড়ে গিয়েছিল সুপার ঈগল তকমা। এরপর ১৯৯৬ অলিম্পিকে কানুদের সেই অবিস্মরণীয় সোনা জয় তাদের নিয়ে আসে পাদপ্রদীপে। বিশ্বকাপে এরপর থেকেই নিয়মিত নাইজেরিয়া, শুধু ২০০৬ সালে খেলতে পারেনি। সেই অর্থে চমকও দেখাতে পারেনি তেমন, দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনবার উঠলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া হয়নি কখনও। এবারও সেই রাস্তা সহজ নয় মোটেই।

গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনা মোটামুটি প্রতি বিশ্বকাপেই তাদের নিয়মিত প্রতিপক্ষ। ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ডও সহজ দল নয়। তবে তারুণ্যদীপ্ত নাইজেরিয়ায় আছেন আইওবি, ইহেনাচোদের মতো ইউরোপ মাতানো ফুটবলাররা। অভিজ্ঞ জন অবি মিকেলের সঙ্গে আছেন ভিক্টর মোসেসও। শুধু ভিক্টর এনিয়ামা অবসর নেওয়ায় গোলপোস্টের নিচের জায়গাটা একটু নড়বড়ে।

বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া
৫ অংশগ্রহণ
০ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৯৪
শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪
সেরা অর্জন শেষ ১৬: ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০১৪

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন