বিজ্ঞাপন

এবারও জার্মানি বিশ্বকাপ জিততে পারে যে কারণে

June 9, 2018 | 10:52 pm

জার্মানি যেহেতু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, সেহেতু এ বিশ্বকাপেও তারা অন্যতম ফেভারিট সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো জার্মানি সবশেষ কনফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন যেটা রাশিয়ায় আয়োজিত হয়েছে। সেই দলের অনেক তরুণ খেলোয়াড় এবারের বিশ্বকাপে আছে। সেটা বড় একটা প্লাস পয়েন্ট হবে।

বিজ্ঞাপন

গত বিশ্বকাপের অভিজ্ঞ ফুটবলাররা এ দলে আছে। তাদের নেতৃত্বে জোয়াকিম লো তো আছেই। এ দলের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো দলটি অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে একটা দারুণ দল। অন্যান্য দলের তুলনায় এ দলটা অনেক বেশি সম্ভাবনা রাখে এই বিশ্বকাপে।

আমরা যদি স্কোয়াডের কথা বলি, ম্যানুয়াল ন্যুয়ার ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছে। তাকেই অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে, সবচেয়ে বড় ভয় ছিল ন্যয়ার খেলতে পারবে কি না। সেটা যখন নিশ্চিত হলো যে খেলতে পারবে দলের মধ্যেও মানসিকতা শক্ত করতেও সাহায্য করবে। সে বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক সঙ্গে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। একটি বিশ্বকাপ জেতারও অভিজ্ঞতা আছে তার। তাছাড়া দুর্দান্ত কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে তারাও মুখিয়ে থাকবে ভালো কিছু করার। জুলিয়ান ডেক্সলারের মতো মেধাবী ও সৃজনশীল মিডফিল্ডার আছে জার্মানির। সঙ্গে নাম্বার নাইনে খেলবে তরুণ ফরোয়ার্ড টিমো ওয়ের্নার। বিশ্বের বেশ কয়েকজন ভালো স্ট্রাইকারের মধ্যে একজন ওয়ের্নার।

মোটের ওপর জার্মানিকে সবচেয়ে ফেভারিট মনে হয় এ বিশ্বকাপে।

বিজ্ঞাপন

যে পাঁচটি কারণে এবারের সবচেয়ে ফেভারিট জার্মানি

কোচ জোয়াকিম লো: এ কোচের অভিজ্ঞতা আছে দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর। কনফেডারেশন কাপ জিতেছে এই কোচের মাধ্যমে। দল গোছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। স্ট্র্যাটেজিকালি ও টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড এই কোচ। খেলা বের করে নিয়ে আসার দারুণ কৌশল মাঠে ফলাতে পারেন তিনি।

গোল রক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার: বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে ন্যুয়ার। অভিজ্ঞতা আছে। ভরসাও আছে এই গোলরক্ষকের ওপর। এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে ফিরলে দলের মানসিক অবস্থা এমনিতেই চাঙ্গা থাকে।

বিজ্ঞাপন

অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে ভারসাম্য দল: একটা দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের মিলে একটা ভারসাম্য দল গঠন করতে হয়। সেটাই এ দলে আছে। প্রত্যেকটা পজিশনে তাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে। তাদের রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী। টনি ক্রুস, মেসুত ওজিল, টমাস মুলার, সেমি খেদিরার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। যারা এ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারে।

বহির্মুখী প্রভাবমুক্ত দল: বিভিন্ন দলের মধ্যে কোন্দল থাকে। দ্বন্দ্ব থাকে। কিন্তু জার্মানির মধ্যে এমন কোনও সমস্যা নেই। একেবারে নিয়মতান্ত্রিক হিসেবে দলটি আসে বিশ্বকাপে। তাই তাদের ভালো খেলার সুযোগ বেশি।

পুরোপুরি দল হিসেবে খেলবে: জার্মানির টিমে সেই অর্থে সুপার স্টার কম। কিন্তু প্রত্যেক খেলোয়াড় তাদের পজিশনের দায়িত্বটা ভালোভাবে সেড়ে নেয়। তাতে পুরো দল এক হয়ে খেলে। সেটাই সবচেয়ে বড় জরুরি।

বিশ্বকাপে গ্রুপ এফে জার্মানির প্রতিপক্ষ মেক্সিকো, সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে বেশি একটা বেগ পেতে হবে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

বিজ্ঞাপন

লেখক: জাহিদ হাসান এমিলি, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন