বিজ্ঞাপন

ব্যাংকিং খাতের লুটপাট নিয়ে সংসদে কড়া সমালোচনা

June 10, 2018 | 1:15 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা ও লুটপাট নিয়ে কড়া সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা। রোববার (১০ জুন) সকালে সংসদ অধিবেশনে আলোচনার শুরুতেই অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ। এরপর আলোচনায় তার সঙ্গে সুর মেলান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও রুস্তুম আলী ফরাজী।

ব্যাংক লুটকারী ও অর্থপাচারকারীদের ধরতে না পারায় এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে না পারায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অদক্ষতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন সংসদ সদস্যরা। ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কিছু মানুষ ব্যাংকিং খাতে লুটপাট করবে, এটা হতে পারে না। ঋণ খেলাপি হবে, অর্থপাচার করবে এই ঋণ খেলাপি অর্থ পাচারকারীদের আপনি ধরেন।’

সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘করের আওতা বাড়াতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কর অফিস করেন। বিমান চলছে না, বিদেশিরা এসে বিমানে উঠলে মনে করে যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। সর্বত্র ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা চলছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু শৈথিল্য আছে। সেগুলা দূর করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে এই ব্যাংক লুটপাটকারীরা দেশে থাকবে না, তাদের খুঁজেও পাবেন না। তারা বিদেশে পালিয়ে যাবে, ইতোমধ্যে তারা ভিসা লাগিয়ে ফেলেছে। ব্যাংকিং খাতে যে লুটপাট হয়েছে তা ভারতের সোমনাথ মন্দিরের লুটপাটের সঙ্গে তুলনা করা যায়। তখন সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করে ২০ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করা হয়েছিল। আর বাংলাদেশে ব্যাংক লুটপাটের আগ পর্যন্ত এতো বড় লুটপাটের ঘটনা আর ঘটেনি।’

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খেলাপি কারা? এটা কি আপনি জানেন না? কেনো তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন না। এরা ২৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে, এই সমস্থ ভুয়া বাজেট দিয়ে কাজ হবে না। এই বাজেটের মধ্যে কিছু নেই। ধনিকে খুশি, গরীবকে নিঃস্ব আর ব্যাংক ডাকাতদের উৎসাহিত করেছেন এই বাজেটে।’

রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রাখলে পাচার হয়ে যায় মানুষ এই আতঙ্কে আছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ খেলাপিরাও টাকা দেশে রাখে না, বিদেশে পাচার করে। এরা ব্যাংকের কিছু আর রাখবে না। যারা ব্যাংকে লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনে চলছে অনিয়ম বেতন বাড়ানো হলো তারপরেও কর্মকর্তারা ঘুষ খায়। তারা বেতন নিলে ঘুষ বন্ধ করতে হবে। আর ঘুষ নিলে বেতন বন্ধ করতে হবে, এক সাথে দুটো চলবে না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন