বিজ্ঞাপন

‘বস্ত্র বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন

June 10, 2018 | 4:43 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বাড়ানো ও ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে বস্ত্রখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বস্ত্র বিল-২০১৮’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

রবিবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বিলটি উত্থাপন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান। একইসঙ্গে কমিটিকে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ১৫ দিনে শেষ করতে সময় বেঁধে দেন তিনি।

বিলটি পাস হলে বস্ত্র খাতের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, আধুনিকায়ন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ, বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী বস্ত্র উৎপাদন ও দক্ষ জনবল তৈরি এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

বিলটির খসড়ায় ২৪টি ধারা ও ৬০টি উপধারা রয়েছে। এতে বস্ত্র অধিদফতরের বিভিন্ন কাজ (যেমন— বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ, উন্নয়ন, বিপণন, পরিবহন, তদারকি ও সহায়তা দেওয়া ইত্যাদি) যুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও আধুনিকায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছাড়াও বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি, নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ইত্যাদিও আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এ ছাড়া, বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন, বায়িং হাউজ নিবন্ধন, পরীক্ষাগার স্থাপন, তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা ও তথ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই বিলে। এর আওতায় বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবল তৈরি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বস্ত্র খাতের প্রসার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণোদনা, গবেষণা, পরিদর্শনের মতো কর্মসূচিও প্রবর্তন করা হয়েছে।

বস্ত্র আইন ২০১৮ পাস হলে বায়িং হাউজ নিবন্ধন, পরীক্ষাগার ও তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ, গবেষণা, পরিদর্শন, প্রণোদনার মতো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া, বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বস্ত্র অধিদফতর বর্তমানে পোশাক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন ও এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন