বিজ্ঞাপন

বৃষ্টিতে রোহিঙ্গা শিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

June 11, 2018 | 8:13 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়োবাতাসে গত দুদিনে (শনি ও রোববার) কক্সবাজার রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে ৬০-র মতো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বন্যা ও ভূমিধসে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পুগলোর রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিকভাবে তার পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।

আশ্রয় শিবিরগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসম্ভব হ্রাস করতে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, আনুমানিক ২ হাজার ৯৮টি পরিবারের ৯ হাজার ১১৪ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী গত দুদিনে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন ৬ হাজার ৪ জন যা মোট ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার ৬৬ ভাগ। ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৭২ জন যার পরিমাণ ২৭ ভাগ। জলাবদ্ধতার শিকার হন ৩৮১ জন যার পরিমাণ ৪ শতাংশ এবং বজ্রপাতের শিকার হয়েছে ১৯২ জন যারপরিমাণ ২ শতাংশ, বাকিরা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছেন।

এ ছাড়াও দুদিনে ৮৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৮টি পানির উৎস, ১২৭টি স্যানিটারি ল্যাট্রিন, ১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও দুটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিপাতে কুতুপালং ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সেনাবাহিনীর তৈরি রাস্তাটির অধিকাংশ অংশ ভেঙে গেছে। রাস্তা সংস্কার চলায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রেণে ক্যাম্পের মুখে চেক পয়েন্ট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিস্থিতি মোবাবেলায় চিকিৎসকদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে ওই রাস্তাগুলোতে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১১ জুন) পর্যন্ত ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঝুকিপূর্ণদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। সরকারের সঙ্গে সমান্তরালভাবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও তাদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা দিয়েছে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে চাকমারকুলের কাছে আরও ১০০ একর অতিরিক্ত জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন