বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের বিশ্লেষণ: গ্রুপ ‘জি’ প্রিভিউ

June 12, 2018 | 10:46 am

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারাবাংলা.নেটে প্রতিদিন যাচ্ছে গ্রুপগুলো নিয়ে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ। আজ থাকছে বেলজিয়াম, পানামা, তিউনিসিয়া আর ইংল্যান্ডের গ্রুপ ‘জি’ বিশ্লেষণ।

বেলজিয়াম:
কাগজে কলমে এই বেলজিয়ামকে ধরা উচিত বিশ্বকাপের বড় দাবিদার। যে দলের গোলরক্ষক কোর্তোয়া, রক্ষণে আছেন কোম্পানি, মধ্যমাঠে ডি ব্রুইনদের সাথে আক্রমণে হ্যাজার্ড, লুকাকু; সে দলের সামর্থ্য নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। এই বেলজিয়াম এতোটাই শক্তিশালী, তাতে জায়গা হয় না রোমার হয়ে দারুণ খেলা মিডফিল্ডার নাইঙ্গোলানের। বাছাইপর্বে অবশ্য দুর্দান্ত খেলেই রাশিয়ায় এসেছে বেলজিয়াম।

বিশ্বকাপে বেলজিয়াম:
১২ অংশগ্রহণ
১ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩০
শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪
সেরা অর্জন চতুর্থ ১৯৮৬

বিজ্ঞাপন

ইংল্যান্ড:
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান মানেই আক্ষেপ আর হতাশার প্রতিশব্দ। প্রতিবারই কাগজে কলমে শিরোপা জেতার মতো দল নিয়ে বিশ্বকাপে যায়, প্রতিবারই হোঁচট খেতে হয় তার অনেক আগেই। ১৯৬৬ সালের সেই বিশ্বকাপ জয়ই হয়ে আছে একমাত্র সুখস্মৃতি। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের এই দলটা যে খারাপ তা বলা যাবে না, তবে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। একঝাঁক তরুণের ওপর আস্থা রেখেছেন সাউথগেট। ক্লাবেও স্টার্লিং, ডেলে আলীরা সবাই ভালো একটা মৌসুম কাটিয়ে এসেছেন। আর দলকে নেতৃত্ব দেবেন ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো হ্যারি কেইন।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড:
১৪ অংশগ্রহণ
২ সেমিফাইনাল
১ ফাইনাল
১ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৫০
শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪
সেরা অর্জন চ্যাম্পিয়ন ১৯৬৬

পানামা:
আর বাকি দলগুলোর চেয়ে পানামার বিশ্বকাপটা এবার একটু আলাদা। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি এবারই প্রথম খেলতে আসছে বিশ্বকাপে, তাও আবার দারুণ নাটকীয়ভাবে। ২০১৪ সালে একটুর জন্য বিশ্বকাপ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাদের দিক থেকে। রাশিয়া অভিযানে বেশিদূর যাওয়ার মতো গোলাবারুদ তাদের নেই বটে, তবে আস্থা যোগাবে গোলপোস্টের নিচে থাকা জেইমি পেনেডো। পানামার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এই গোলরক্ষকের, এই দলের অবিসংবাদিত নেতাও তিনি। আর কোচ হার্নান গোমেজ যখন বলে দিয়েছেন, অভিজ্ঞতা অর্জনই তাদের উদ্দেশ্য; পানামা বিশ্বকাপে যাচ্ছে চাপ ছাড়াই।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে পানামা:
০ অংশগ্রহণ
০ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ এবারই

তিউনিসিয়া:
কার্থেজ ঈগলরা ১২ বছর পর আবার ফিরছে বিশ্বকাপে। এর আগেও চার বার তারা বিশ্বকাপ খেলেছে, কিন্তু কখনো পার হতে পারেনি প্রথম রাউন্ডের চৌহদ্দি। এবার শেষ পর্যন্ত কতদূর যেতে পারবে বলা মুশকিল, তবে তাদের শক্তি হতে পারে হার না মানার মন্ত্র। বাছাইপর্বে কঙ্গোর বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ফিরে এসেছিল, সেটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। কাগজে কলমে সেই অর্থে বড় কোনো তারকা নেই তাদের, রেনের মিডফিল্ডার ওয়াহাব খাজরিই বড় ভরসা। তবে কোচ নাবিল মালৌল দলটাকে এক সুতোয় বাঁধার কাজটা করতে পেরেছেন ভালোমতোই। তাতে তিউনিসিয়া চমকে দিতে পারে যে কোনো দলকেই।

বিশ্বকাপে তিউনিসিয়া:
৪ অংশগ্রহণ
০ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৭৮
শেষ অংশগ্রহণ ২০০৬
সেরা অর্জন গ্রুপ পর্ব

সারাবাংলা/এমআরপি/এএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন