বিজ্ঞাপন

ট্রেনে ঈদযাত্রা: বুধবার থেকে চালু হচ্ছে স্পেশাল সার্ভিস

June 12, 2018 | 11:15 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।। 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ভীড় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের। তবে এখনো সে ভীড় ভোগান্তির পর্যায়ে পড়েনি। নিয়ম মেনে সময়মতোই দেশের ৪৫৮টি রুটে ছেড়ে যাচ্ছে ৩৪০টি ট্রেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন যাত্রীর চাপ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ানো হচ্ছে পরিবহন সেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

সরেজমিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, আগে থেকে টিকেট নেওয়া যাত্রীরা অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে চড়ছেন। প্লাটফর্মগুলো থেকে সময় মতোই ছাড়ছে বিভিন্ন রুটের ট্রেন। পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি মঙ্গলবারও (১২ জুন) নিয়মিত শিডিউলে ট্রেন ছাড়ছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ঈদের স্পেশাল সার্ভিস চালু করা হবে। এ তিন দিন নব্বইটি নতুন বগি যোগ করা হবে ট্রেনের বহরে।

বিজ্ঞাপন

স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সারাবাংলাকে জানান, এখন প্রতিদিন সত্তুর হাজারের মতো যাত্রী কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করছে। তবে স্পেশাল সার্ভিস চালু হলে এ সংখ্যা লাখ ছাড়াবে বলে জানান তিনি।

ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া সুহায়লার মা-বাবা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। তাই সে নানা-নানীর সঙ্গে ঈদ করতে ট্রেনে চেপে যাচ্ছে রাজশাহী। সুহায়লা জানায় বাবা-মাকে ছেড়ে ঈদ করতে খুব কষ্ট হবে তার। তবে নানা-বাড়িতেও ঈদের সময় অনেক মজা হবে ধারণা সুহায়লার।

সুহায়লার নানী শামিম আরা বলেন, রাজশাহীতে আত্মীয়-স্বজন সবাই মুখ চেয়ে বসে আছে। এক তারিখ থেকেই সবাই ফোন করছে কবে বাড়ি আসছি।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে রায়হান। সেও ঈদের ছুটি কাটাবে সিলেটের নানা বাড়িতে। কখন ট্রেন আসবে সে আশায় পথ চেয়ে বসে আছে কৌতুহলী রায়হান।

স্টেশনের সবাই যে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন তেমনটি নয়। এর মধ্যে নিয়মিত অনেক যাত্রীই যাচ্ছেন নির্ধারিত গন্তব্যে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের আতিক ছোটো বোনকে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন দু’দিন আগে। কাজ শেষে এখন তিনি ধরছেন দুপুর বারোটার জয়ন্তিকা ট্রেন। আগে ভাবে টিকেট নেওয়ায় কোনো দুশ্চিন্তা নেই আতিকের।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন চট্টগ্রামের ফেন্সি। সরাসরি ট্রেন না থাকায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে চট্টগ্রাম যেতে হবে তাকে। দীর্ঘ ভ্রমনে ক্লান্তি থাকলে টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই তার। বিজিবিতে কর্মরত স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটাবেন সে আনন্দে সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে ফেন্সির।

বিজ্ঞাপন

পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাবার বাড়ি ভৈরব যাচ্ছেন রুমা বেগম। তারাও এক সপ্তাহ আগে কেবিন বুকিং করে রেখেছিলেন। স্বামী আগেভাগে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে পরিবারসহ যাচ্ছেন।

প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত আছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি জানান, রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি, এনএসআই, ফায়ার বিগ্রেড সহ নানা বাহিনী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তৈরি আছে।

দেশের মোট ১ হাজার ৮০৮ কিলোমিটার মিটার গেজ ও ৪০৯ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথে নিয়মিত যে সব ট্রেন চলছে তার সবগুলোতেই ভরপুর যাত্রী থাকছে সারাবছর। তবে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চলতি বছর রেলখাতে ১৮৫২ কোটি টাকা লোকসানের কথা জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/এমএস/আরএফ

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন