বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় দাবিদার ব্রাজিল

June 12, 2018 | 9:31 pm

জাহিদ হাসান এমিলি

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিল দল হলো এ বিশ্বকাপের সবচেয়ে ফেভারিট দল। কারণ হলো, দুঙ্গা যাওয়ার পর তিতে আসার পর ফুটবলারদের গুছিয়ে ভালো দল তৈরি করেছে। এবং তার কোচিংয়ে কোনও ম্যাচই হারেনি সেলেসাওরা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও অপরাজিত থেকে পা রেখেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও দারুণ খেলেছে ব্রাজিল। আমার কাছে মনে হয়, সবচেয়ে শক্তিশালী দল তারা।

এদিকে বিশ্বকাপের আগে দলের প্রাণভোমরা নেইমার জুনিয়রকে নিয়ে সবচেয়ে শঙ্কায় ছিল কোচ-খেলোয়াড়-সমর্থকরা। চোট সেড়ে সে যেভাবে খেলেছে তাতে ব্রাজিলকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। প্রথম ম্যাচে পরে নেমে দুর্দান্ত গোল করেছে নেইমার। এরপরের ম্যাচে আরেকটি দুর্দান্ত গোল উপহার দিয়েছে এন টেন।

তাদের লাইন-আপ বলেন। তাদের স্কোয়াড সবচেয়ে শক্তিশালী। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় দাবিদার ব্রাজিল।

বিজ্ঞাপন

এলিসন হয়তো স্টার্টিং ইলাভেনে গোলকিপার হিসেবে শুরু করবে। রক্ষণে দানি আলভেসের জায়গায় রাইটব্যাকে হয়তো দানিলো, মাঝখানে মার্কিনহস, থিয়াগো সিলভা এবং লেফ্ট সাইডে মার্সেলোর মতো খেলোয়াড় থাকবে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিফেন্স ধরা যায় এটাকে। তাদের রিপ্লেসমেন্ট নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন রাখার সুযোগ নেই। মিরান্ডা, ফিলিপে লুইসের মতো বিশ্বমানের ফুটবলার আছে রিজার্ভবেঞ্চে।

যদি মিডফিল্ডে দেখি, ফার্নান্দিনহোর মতো ফুটবলারও প্রস্তুতি ম্যাচে রিজার্ভে রেখে দিয়েছে। কাসেমিরো, পাউলিনয়ো, কুতিনহো আছে ফিডফিল্ডে। ডগলাস কস্তা, ফ্রেড, অগুস্তোদের মতো ফুটবলার রিজার্ভ বেঞ্চে।

আক্রমণভাগে জেসুস, নেইমার ও ফিরমিনহোর মতো ধারালো গোল স্কোরার আছে ব্রাজিলে।

বিজ্ঞাপন

কী হতে পারে ব্রাজিলের কৌশলঃ নেইমারের ক্লাব পর্যায়ে যে রোল পালন করে সেটা রেখেই কোচ তিতে চাইবে দল খেলানোর। তাকে ফ্রি রাখতে চাইবে। তাছাড়া ৪-৩-৩ ফরম্যাশনে দারুণ সফলও তিতে। তাই বিশ্বকাপে নতুন করে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়তো চালাবে না কোচ। হয়তো সামনে জেসুস-ফিরমিনহো-নেইমার-কুতিনহোর একটা বলয় করতে পারে তিতে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও যেমনটা দেখা গিয়েছিল।

শক্তিশালী দিকঃ একটা বিশ্বকাপ জিততে হলে একটা দলের খেলোয়াড়দের হতে হয় বিশ্বমানের আর রিজার্ভ বেঞ্চও হতে হয় খুবই স্ট্রং। সেটা ব্রাজিল দলে আছে। অন্যান্য দলে হয়তো ১১জন খেলোয়াড়ের বিপরীতে রিজার্ভ বেঞ্চে সেই লেভেলের ভালো খেলোয়াড় থাকেনা। কিন্তু ব্রাজিলে সবদিক দিয়েই ভারসাম্য আছে। আর একটা দলে ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার দরকার। সেটা সেলেসাওদের দলে অনেক বেশি আছে। উইলিয়ান-জেসুস-ফিরমিনহোরা এই দলে আছে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় বিষয় নেইমার ফিরেছে। এবং দুর্দান্ত রূপেই। এদিকে পৌলিনয়ো নাম্বার নাইনকে সমর্থন দিতে আর রক্ষণেও নেমে আসতে সহযোগিতা করতে পারে।

বিশ্বকাপে গ্রুপে তেমন হয়তো বেগ পেতে হবে না ব্রাজিলকে। সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা আর সার্বিয়া বিপক্ষে ভালোভাবে জিতে নকআউট পর্বে পা রাখবে তিতের শিষ্যরা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আসল পরীক্ষা শুরু হতে পারে ব্রাজিলের। যেভাবে খেলে যাচ্ছে নেইমার-কুতিনহোরা তাতে ১৬ বছরের অপেক্ষা শেষ হতে পারে এবারই।

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক

বিজ্ঞাপন

 

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন