বিজ্ঞাপন

ঈদ জামাতকে ঘিরে হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

June 14, 2018 | 12:55 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আসছে ঈদুল ফিতরের জামাতকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জঙ্গি নেটওয়ার্ক আমরা ভেঙে ও গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এরপরও জঙ্গি সদস্যদের যারা জামিনে মুক্ত আছে, তাদের আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আশা করছি, সবাই নির্বিঘ্নে ঈদুল ফিতর উযযাপন করতে পারবে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কয়েকটি পয়েন্টে দুই দফা তল্লাশি শেষে মুসল্লিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে হবে। কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাঁচি, মোবাইল বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেবল জায়নামাজ ও বৃষ্টি থাকলে ছাতা নিয়ে আসতে পারবেন। পুলিশ চাইলে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা খুলে দেখাতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কেবল জাতীয় ঈদগাহ নয়, ঈদকে ঘিরে গোটা নগরেই মসজিদগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে নগরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন ও সমন্বিত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মুকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাত ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চারদিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। জামাতে আসার সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ঢুকতে হবে। মূল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদেরকে আবারো তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

তিনি জানান, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের বিশেষায়িত সবগুলো শাখার কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন এবং সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এবারের ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের মুসল্লিদের সাথে নামাজ আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তাদের জন্য বেলা ১১টায় রাজারবাগে আলাদা ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানানো হয় ডিএমপি কমিশনারের ব্রিফিংয়ে।

ঈদে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। সে ক্ষেত্রে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস ও শপিংমলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। এ ছাড়া, ঈদের আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেবে পুলিশ। সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে ওইসব এলাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরেও ২০১৬ সালে শোলাকিয়া ময়দানে হামলাচেষ্টা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন