বিজ্ঞাপন

‘কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘ মেয়াদের উত্তেজনা কমেছে’

June 14, 2018 | 3:30 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের পর ঘোষণা করা যৌথ বিবৃতিতে কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি, প্রগতি এবং নিরাপত্তার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শক্ত বার্তা রয়েছে। যার মধ্য দিয়ে কোরীয় অঞ্চলের দীর্ঘ মেয়াদের উত্তেজনা কমানোর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি, প্রগতি এবং নিরাপত্তার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শক্ত বার্তা রয়েছে।

বার্তায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশ আশা করছে, দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নেবে। কেননা দুই নেতার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কোরীয় অঞ্চলসহ পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী হবে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে গত ১২ জুন, মঙ্গলবার, সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে এই ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে সই করেন দুই দেশের প্রধান। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে দুই নেতার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প এবং স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশন অব দি ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার (ডিপিআরকে) চেয়ারম্যান কিম জং উন ১২ জুন এক ঐতিহাসিক বৈঠকে সিঙ্গাপুরে মিলিত হয়েছেন। কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে সুসম্পর্ক তৈরিতে দুই নেতার মধ্যে বিস্তারিত এবং অর্থপূর্ণ মতবিনিময় হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন এবং কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করতে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন তার অভিমতের পুর্নব্যক্ত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

দুই দেশের এই সম্পর্ক পৃথিবী ও কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি আনতে দুই দেশ একসঙ্গে যে কাজগুলো করবে, তা হচ্ছে, ১. শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুদেশের জনগণের চাওয়া অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পর্ক তৈরি করবে।

২. কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং এই অবস্থা বিরাজমান রাখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ চলমান থাকবে।

৩. ২৭ এপ্রিল ২০১৮-এর পানমুনজামের ঘোষণা অনুযায়ী, কোরিয়া উপদ্বীপকে সম্পূর্ণরুপে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে উত্তর কোরিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৪. দুদেশের যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন