বিজ্ঞাপন

শেষ মুহূর্তে ভিড় জমেছে জুতা-প্রসাধনীর দোকানেও

June 14, 2018 | 9:10 pm

।। রাজনীন ফারজানা, নিউজরুম এডিটর।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নগরীর বাসিন্দাদের বড় অংশটিই এখন গ্রামের পথে। তবু ফাঁকা হয়নি যান্ত্রিক এই শহর। তবে নগরবাসীর কেনাকাটা প্রায় শেষ হয়েছে বললেই চলে। নিজের কিংবা আত্মীয় স্বজনদের জন্য ঈদ উপহার কেনা হয়েছে আরও আগেই। ফলে কেনাকাটা যাদের কিছুটা বাকি, শেষ মুহূর্তে তারা ভিড় করছেন বিভিন্ন মার্কেটে। কিনছেন পছন্দমতো প্রসাধনী সমাগ্রী। কেউ বা নিচ্ছেন বাকি ছিল এমন ছোট ছোট সামগ্রী।

দেখা গেছে, জুতা ও প্রসাধনপণ্যের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন বাহারি সব জুতো। কেউবা কিনছে ঘড়ি, সানগ্লাস, টুপি ও আতর। এমনকি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কেউ কেউ কিনছেন প্রিয় দলের জার্সিও। নগরীর রামপুরা, বনশ্রীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বনশ্রী ও রামপুরা এলাকায় দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে চলছে জুতা, গয়না ও প্রসাধনী কেনাবেচা। ক্রেতারা রোদ ও গরম উপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা চলছে। তবে জুতার দোকানগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ভিড়। বনশ্রীর পসরায় কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সোহেল। হাতে কয়েকটি জুতার প্যাকেট।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটা সবই শেষ। শুধু জুতাটাই বাদ ছিল। তাও আজ নিয়ে নিলাম। এ দোকানে প্রিয় দলের জার্সিও পছন্দ করছিলেন। তবে দাম বেশি থাকায় কেনা হয়নি তার। ছেলেকে নিয়ে বনশ্রী এপেক্সে জুতা পছন্দ করছিলেন মাহমুদ। বললেন, ঈদের বাকি কেনাকাটা আগেই শেষ। জানালেন, ছেলে আর নিজের জন্য জুতা কিনতে এসেছিলেন।

রামপুরার জুতার দোকান বোলিং এর শপ ইনচার্জ কাউসার আহমেদ জানালেন, পুরো রোজার মাস জুড়ে যা কেনাবেচা হয়েছে, এখন তার থেকে বিক্রি বেড়েছে। তাদের দোকান থেকে পছন্দমত জুতা ছাড়াও ব্যাগ কিনছে মানুষ। একই দোকানে গৃহিনী মুক্তা ছোটবোন আর ছেলেকে নিয়ে জুতা কিনতে এসেছেন। বাকি কেনাকাটা তিন চারদিন আগেই শেষ। এখন জুতা কেনাই বাদ ছিল। বললেন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা কেনার জন্যই দেরি করছিলেন তারা।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ বনশ্রীর ইস্টার্ন বন বিথী শপিং কমপ্লেক্সের দোকানিদের সময় কাটছে আলস্যে। কসমেটিকস, জুতা আর কাপড়চোপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতা নাই বললেই চলে। প্রসাধনীর দোকানে কয়েকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও পোশাকের দোকানে ক্রেতা নাই বললেই চলে।

প্রসাধনী পণ্যের দোকানদার মো. মনিরুল জানালেন, গরম আর বৃষ্টির জন্য এবার তেমন একটা বিক্রি হয়নি। আজ আর কাল বিক্রি কিছুটা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

একই মার্কেটের অন্য দোকানে দুই মেয়েকে নিয়ে কসমেটিকস পছন্দ করছিলেন গৃহিণী সাথী বেগম। বললেন, পরিবারের সবার সবার কাপড়চোপড় কেনা শেষ। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ওদের পছন্দের লিপস্টিপ, নেইলপলিশ আর মেহেদী কিনে দিতে।

বিজ্ঞাপন

রামপুরার সার্কেল আম্বিয়া পয়েন্টের ফুটপথ জুড়ে বসেছে বাহারি জুতার দোকান। এখানকারই এক জুতার দোকানদার রুবেল জানালেন, গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় আজ তার দোকানে কেনাবেচা ভালো চলছে। রোদ পড়লে আর ইফতারির পর ভিড় বাড়বে বলে জানান তিনি। জুতার দোকানগুলোর পাশেই অল্প কিছু কাপড় নিয়েও দোকান মেলেছেন কেউ কেউ। দুপুরের টাটকা রোদ উপেক্ষা করে এখানে ভিড় করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ফুটপথ থেকে দোকান, পরিবারের সবার জন্য কিছু না কিছু কিনতে ঘোরাঘুরি করছিলেন ব্যবসায়ী ইমান আলী। ঈদের আগ মুহূর্তে কেন কিনতে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোটখাট ব্যবসা করে দিন চলে যায়। আমরা সাধারণ মানুষ আগেভাগে কীভাবে কিনব। যাদের টাকা আছে তারা আগেভাগে কেনে।

সার্কেল আম্বিয়া পয়েন্টের দোতলায় প্রসাধনীর দোকানে ফেসওয়াশ আর ক্রিম কিনতে এসেছেন গৃহিণী আসমা বেগম। জানালেন সাধ্যমত বাকি কেনাকাটা শেষ করেছেন কয়েকদিন আগেই। এখন শেষ মুহুর্তে প্রসাধনী কিনতে এসেছেন।

ঈদ উপলক্ষে পছন্দের পোশাক কেনা শেষ অনেকেরই। তারাই শেষ মুহূর্তে ভিড় করছেন, জুতা আর প্রসাধন পণ্যের দোকানগুলোতে।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন