বিজ্ঞাপন

বিরতির আগে উরুগুয়ে ০-০ মিশর

June 15, 2018 | 6:50 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে মিশরের। সেই মিশর আবার ফিরছে বিশ্বকাপে, গ্রুপ ‘এ’ তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ র‌্যাংকিংয়ে ১৪ নম্বরে থাকা উরুগুয়ে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। প্রথম একাদশে মাঠে নামেননি র‌্যাংকিংয়ে ৪৫ নম্বরে থাকা মিশরের কিং মোহামেদ সালাহ। একাতেরিনবার্গ অ্যারেনায় বিরতির আগে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম আক্রমণ চালায় উরুগুয়ে। মিশরের ডি-বক্সে গিয়ে শট নেন কাভানি, তবে প্রস্তুত ছিলেন মিশরের গোলরক্ষক আল শেনাওয়ি। ১১তম মিনিটে আক্রমণের যাত্রা শুরু করে মিশর। তারজেগুয়েতের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট হতাশ করে মিশরকে। ১৪ মিনিটের মাথায় উরুগুয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মেতে উঠার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে, বার্সেলোনার তারকা এই স্ট্রাইকার নিজের নিয়ন্ত্রণে বল নিয়ে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি।

২৪ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে, নিজের সঙ্গে দলকেও হতাশ করেন ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায়। পুরো আনমার্ক থাকা সুয়ারেজ কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে শট নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বল জালে না পাঠিয়ে জালের বাইরে জড়িয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

৩৪ মিনিটের মাথায় আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি মিশর। ৩৮ মিনিটে উরুগুয়ের তারকা দিয়েগো গডিন সতীর্থদের লক্ষ্যে বল বানিয়ে দিলেও শট নেওয়ার মতো জায়গা ছিলেন না ডি আরাসকায়েতা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেষ ছয় ম্যাচের কোনোটিতেই জিততে পারেনি উরুগুয়ে। তিনটি ম্যাচ ড্র করার পাশাপাশি তিনটি ম্যাচ হেরেছিল উরুগুইয়ানরা।

অথচ প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল উরুগুয়ে, প্রথম চারবারের দুবারই শিরোপা উঠেছে তাদের হাতে। এরপর লম্বা একটা সময় বিস্মৃতিতে হারিয়ে যাওয়ার পর উরুগুয়ে আবার ফিরেছে বিশ্বকাপে। সেই অর্থে ঠিক পরাশক্তি বলা যাবে না, তবে নিজেদের দিনে যে কোনো দলকেই বিপদে ফেলার সামর্থ্য আছে সুয়ারেজ-কাভানিদের। এদিকে, ইনজুরি থেকে ফিরে কতটুকু ফিট সালাহকে বিশ্বকাপে শুরু থেকেই পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কারণ তার ওপরেই হয়তো নির্ভর করছে মিশরের বিশ্বকাপ ভাগ্য।

বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের দুজনই উরুগুয়ের স্কোয়াডে রয়েছেন। অন্য অনেক দলেই যেমন দুজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকারকে একসঙ্গে খেলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান কোচরা, উরুগুয়েতে তেমন হয়নি। কাভানি-সুয়ারেজের যুগলবন্দিই তাদের বড় সম্পদ। আগের চারবারের মতো এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নয়, দুইয়ে থেকেই পা রেখেছে উরুগুইয়ানরা। মধ্যমাঠ ঠিকঠাক খেললে ভালো কিছুর আশা উরুগুয়ে করতেই পারে। অপরদিকে, সালাহ আক্রমণের ভরসা হলেও মিশরের বড় অস্ত্র রক্ষণ।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে ১২ বার অংশ নিয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। দেশটি ১৯৩০ সালে প্রথম অংশ নেয় আর গত বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপেও খেলেছে। উরুগুয়ের সেরা অর্জন ১৯৩০ এবং ১৯৫০ সালের শিরোপা জয়। এদিকে, মিশর বিশ্বকাপে দুইবার অংশ নিয়েছিল। কোনোবারই তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি। ১৯৩৪ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেওয়া দেশটি শেষবার অংশ নেয় ১৯৯০ সালে। বিশ্বকাপে মিশরের সেরা অর্জন প্রথম-পর্ব।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন