বিজ্ঞাপন

শেষ মুহূর্তের গোলে উরুগুয়ের জয়

June 15, 2018 | 7:57 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

মিশর-উরুগুয়ে ম্যাচে গতি ছিল না তা কিন্তু নয়। তারপরও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে মিশরের। র‌্যাংকিংয়ে ৪৫ নম্বরে থাকা মিশর আবার ফিরছে বিশ্বকাপে, গ্রুপ ‘এ’ তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ র‌্যাংকিংয়ে ১৪ নম্বরে থাকা উরুগুয়ে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। একাতেরিনবার্গ অ্যারেনায় বিরতির আগে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করে উরুগুয়ে। ১-০ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সুয়ারেজ-কাভানি-গডিন-জিমিনেজদের উরুগুয়ে।

প্রথম একাদশে মাঠে নামেননি মিশরের কিং মোহামেদ সালাহ। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম আক্রমণ চালায় উরুগুয়ে। মিশরের ডি-বক্সে গিয়ে শট নেন কাভানি, তবে প্রস্তুত ছিলেন মিশরের গোলরক্ষক আল শেনাওয়ি। ১১তম মিনিটে আক্রমণের যাত্রা শুরু করে মিশর। তারজেগুয়েতের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট হতাশ করে মিশরকে। ১৪ মিনিটের মাথায় উরুগুয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মেতে উঠার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে, বার্সেলোনার তারকা এই স্ট্রাইকার নিজের নিয়ন্ত্রণে বল নিয়ে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

২৪ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে, নিজের সঙ্গে দলকেও হতাশ করেন ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায়। পুরো আনমার্ক থাকা সুয়ারেজ কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে শট নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বল জালে না পাঠিয়ে জালের বাইরে জড়িয়ে দেন।

৩৪ মিনিটের মাথায় আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি মিশর। ৩৮ মিনিটে উরুগুয়ের তারকা দিয়েগো গডিন সতীর্থদের লক্ষ্যে বল বানিয়ে দিলেও শট নেওয়ার মতো জায়গা ছিলেন না ডি আরাসকায়েতা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেষ ছয় ম্যাচের কোনোটিতেই জিততে পারেনি উরুগুয়ে। তিনটি ম্যাচ ড্র করার পাশাপাশি তিনটি ম্যাচ হেরেছিল উরুগুইয়ানরা। বিরতির আগে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।

বিজ্ঞাপন

বিরতির পর একাধিক খেলোয়াড়ের পরিবর্তন হলেও মোহামেদ সালাহকে মাঠে নামাননি মিশরের কোচ। তাতে জন্মদিনের দিন মাঠে নামার অপেক্ষা বাড়ে লিভারপুলের তারকার। ৭৩ মিনিটে আবারো হতাশ হতে হয় সুয়ারেজকে। ফাঁকায় বল পেয়েও মিশরের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। আবারো গোল মিসের হতাশায় ডুবতে হয় উরুগুইয়ানদের।

৮১ মিনিটের মাথায় মিশরের এলনেনির দারুণ এক চিপ থেকে বল পান মুসলেরা। বলে ঠিকঠাক শট নিলেও তা গোলবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। দুই মিনিট পরেই সুয়ারেজ হেড করে বল বাড়িয়ে দেন কাভানিকে। মিশরের ডি বক্সে দাঁড়িয়ে জোড়ালো শট নেন পিএসজির তারকা। কিন্তু, মিশরের গোলরক্ষক আল শেনাওয়ি এবারো দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন।

মিশর কোচ সালাহকে ছাড়াই বদলি খেলোয়াড়ের কোটা শেষ করেন। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে উরুগুয়ের একমাত্র গোলটি করে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে খেলা ২৩ বছর বয়সী তারকা জোসে জিমিনেজ। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করে গোলটি করেন তিনি। ফলে, ১-০ গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

 

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ ‘এ’ পয়েন্ট টেবিল:

 

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন