বিজ্ঞাপন

আঁখি ও তার বন্ধুরা আসছে

December 21, 2017 | 5:59 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বিনোদন, বিনোদন, বিনোদন! সিনেমার পরিসর কি এতই ছোট? বিনোদন ছাড়া কি এই মাধ্যম আর কিছুই দিতে পারে না? সিনেমার পরিসর কতো বড়, তা যুগে যুগে প্রমাণিত। অনুভূতির সব স্তরেই খেলা করে সিনেমার দৃশ্য, সংলাপ, আলো-ছায়া।

দীপু নাম্বার টু-এর কথা মনে আছে? দীপুসহ তার বন্ধুদের পানির ট্যাঙ্কিতে ওঠার ঘটনা? কী ভয়-আতঙ্ক, পাশাপাশি জয় করার আনন্দ। দীপুর সাথে তার মায়ের দেখা করার সময় অশ্রু ধরে রাখতে পেরেছেন কয়জন? আবার, অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়ার পর সবাই হয়ে গেল জাতীয় নায়ক। কী অনুপ্রেরণা!

মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ক্ষুদে বিচ্ছু রাশেদকে দেখে মনে হয়েছে, সে তো আমারই বন্ধু। বাড়ির পাশের ছেলে। আমার বন্ধু রাশেদ ছবিতে রাশেদের মৃত্যু দর্শকদের করে তোলে ক্ষুব্ধ, করে তোলে সংগ্রামী। দেশের জন্য ভালো কিছু করার অদম্য সাহস তৈরি করে দর্শকদের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

সিনেমা দুটি মুক্তি পেয়েছে অনেক আগেই। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে এই ধাঁচের আরো একটি সিনেমা। নাম ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা। এ ছবিতেও বিনোদনের সঙ্গে থাকবে অনুভূতির দ্যোতনা ও দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক করার আহ্বান।

মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ গল্প থেকে ছবিটি নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম।

সরকারি অনুদান পাওয়া ছবিতে প্রায় সবাই নবীন ও ক্ষুদে শিল্পী। তাদের সাথে আছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, তারিক আনাম খান আর আল মনসুর। সেই অর্থে নেই কোনো গ্ল্যামার। কিন্তু আছে প্রচন্ড উদ্যম, সাহস আর গতানুগতিকতাকে ভেঙে দেয়ার প্রচেষ্টা। সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করা চরিত্রের নাম আঁখি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধি সে। তার শারীরিক অসামর্থতাই সিনেমাকে করেছে আলাদা।

বিজ্ঞাপন

কী এক অদম্য চরিত্র আঁখি! দৃষ্টি হারিয়েও সে দেখতে চায় পৃথিবীকে, খেলতে চায়, ছুটতে চায় বন্ধুদের সাথে। ‘এই বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রতিবন্ধির সহায়তা প্রয়োজন। সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা এই সময়ের জন্য খুব জরুরী। শুধু তাই নয়, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বিকাশে খেলাধূলা, পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বই পড়া অত্যাবশ্যকীয়। ছবিতে সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামীর জন্য মুক্তমনে বেড়ে উঠতে দৃষ্টিভিঙ্গির পরিবর্তন খুব প্রয়োজন। বললেন ছবির পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম।

তিনি অভিমান নিয়ে আরও বললেন, ‘এদেশে ছোটদের নিয়ে কাজ করাকে ছোট বলে ধারণা করা হয়। ফলে দেশে শিশুদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণই হয় না বললেই চলে। যাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে রাষ্ট্র, গুরুত্বে তারই পিছিয়ে।’

অনেক কারণেই ছোটদের নিয়ে কাজ করা কঠিন। আর তা যদি হয় পাঠকের প্রিয় কোনো গল্প থেকে তবে বিষয়টি হয়ে ওঠে আর কঠিন। আঁখি ও তার বন্ধুরা পরিচালক সেভাবেই নির্মাণ করেছেন, যেন পাঠকের কল্পনা থেকে চলচ্চিত্র ভিন্ন কিছু না হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

অনেকেই ছবিটিকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বলছেন। কিন্তু পরিচালক এটিকে বলছেন পারিবারিক সিনেমা। পরিচালক মনে করেন, ‘এই সিনেমার বিষয় শুধু শিশুদের জন্য নয়। বাচ্চাদেরকে উদ্দীপ্ত, উৎসাহি, কৌতুহলি ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে সিনেমায়। আর এসব করার জন্য প্রয়োজন পারিবারিক সহায়তা, স্কুলের শিক্ষা এবং বন্ধু-স্বজনদের সমর্থন।’ তাই ছবিটি শুধু শিশুদের না হয়ে, হয়ে উঠেছে পারিবারিক।

দিপু, রাশেদ কিংবা আঁখি- সবাই একে অপরের বন্ধু। অনুভূতি আর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চরিত্রগুলোর দ্যোতনা আঁকড়ে ধরে রাখে দর্শকমন। তাই আঁখি ও তার বন্ধুরা সময়কে শিক্ষা দিয়ে যায় বিনোদনের মাধ্যমে।

শুক্রবার থেকে আঁখি আর তার বন্ধুদের পাওয়া যাবে রূপালি পর্দায়। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। প্রমোশনাল পার্টনার হিসেবে আছে জিটিভি ডিজিটাল পার্টনার র‌্যাবিটহোল।

সারাবাংলা/পিএ/পিএম 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন