বিজ্ঞাপন

বন্ধ খাওয়ার দোকান তাই দুপুরেই ফাঁকা অফিসপাড়া

June 18, 2018 | 3:12 pm

।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদের পর সোমবার (১৮ জুন) প্রথম কর্মদিবস। ঈদের ছুটি শেষে এখনও ঢাকা ফেরেনি অনেকে। অফিসে কাজ শুরু হলেও খোলেনি অফিস পাড়ার খাবারের দোকানগুলো। খাবারের অভাবে বাধ্য হয়েই দুপুরে অফিস ছাড়ছেন কর্মীরা।

দুপুর একটা থেকে দেড়টা অফিস পাড়ার খাবারের সময়। একটা দেড়টা নাগাদ শুরু হলেও এই দুপুরে খাওয়ার পর্ব চলে চারটা পর্যন্ত। কাজের চাপে যে যখন সময় বের করতে পারেন তখনই খেতে যান। সব ধরনের ক্রেতার কথা চিন্তা করে অফিয়া পাড়াগুলোতে গড়ে উঠেছে নানা স্বাদের এবং নানা দামের খাওয়ার দোকান। কাজের দিনগুলোতে তো বটেই, রোজার মধ্যে এই দোকানগুলোতে দিব্যি খাবার পাওয়া গেছে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে অনেক দূর পর্যন্ত কোনো খাবারের দোকান খোলা পাওয়া দায়!

মতিঝিলের বিমান অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়া গলির মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি খাওয়ার দোকান বন্ধ। বাইরের ছোট ছোট সিগেরেটের অস্থায়ী দোকান বলে দিচ্ছে খাবারের দোকানগুলোর খুব শিগগিরই খোলার সম্ভাবনা নেই। সেখানে থাকা দোকানি জানান, সিগেরেটের দোকানও খুব বেশি খোলেনি, সবাই এখনও ঈদের ছুটি কাটাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

করিম চেম্বার বিল্ডিংয়ের নিচে একটি মাত্র স্ন্যাক্সের দোকান খোলা তাতে ফাস্টফুড আর চিড়ে-দই পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো খেতেই লম্বা লাইন দিয়েছেন ক্রেতারা। সেখানে থাকা মোকসেদুল মোমিন জানান, চিড়ে-মুড়ি খেয়ে যতক্ষণ কাটানো যায় কাটিয়ে বাড়ির পথ ধরবেন।

খাবারের বন্ধ দোকানের সামনে আবার অনেককে ছোট পাতিলে করে পোলাও বিক্রি করতেও দেখা যায়। বিক্রেতা জানান, অল্পকিছু খাবার বাড়ি থেকেই রান্না করে এনেছেন। এই খাবারের দাম নিয়েও অভিযোগ করতে দেখা যায় ক্রেতাদের। একজন ক্রেতা বলেন, ‘বেশি দাম দিয়েই কিনতে বাধ্য হচ্ছি, কারণ আশপাশে আর কোথাও খাবার নেই।’

মতিঝিলের বেশিরভাগ অফিস দুপুর হতেই খালি হয়ে যায়। ব্যাংকগুলোর খালি কাউন্টারের ভেতরে থাকা কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মতো সময় পার করছেন। অনেকেই সঙ্গে করে সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। সব দেখে মনে হচ্ছে ব্যাংকপাড়ায় যেন আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দুপুরেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন সবাই।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অফিসপাড়া গুলশানেও দুপুর পেরুতেই শুনশান হয়ে যাচ্ছে। গুলশান-১ এ কিছু দোকান খোলা পাওয়া গেলেও গুলশান-২ এ কোনো খাবারের দোকানই খোলা নেই। একমাত্র খোলা বনানীর স্টার কাবাব তাতেও নেই তিল ধারণের জায়গা। অনেক্ষণ অপেক্ষা করে অফিসে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ সুপার শপ থেকে স্ন্যাক্স অথবা ফল খেয়ে কোনোক্রমে দিন পার করছেন।

সারাবাংলা/এমএ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন