বিজ্ঞাপন

মদের ওপর কর কমিয়ে আনার অনুরোধ গণপূর্তমন্ত্রীর

June 18, 2018 | 9:59 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে পরিবেশন করা মদের ওপর কর কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। একইসঙ্গে অনুমোদন না থাকলেও যেসব হোটেল বা রেস্টুরেন্টে মদ বিক্রি করা হয়, সেগুলোকে লাইসেন্স তথা করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৮ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে, ঈদের ছুটির কর্মবিরতি শেষে সোমবার বিকেল ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমাদের পাঁচ তারকা মানের হোটেল এবং রিসোর্টে হার্ড ড্রিংকসের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু এই হার্ড ড্রিংকসে যে পরিমাণ কর আরোপ করা হয়েছে, তা অনেক বেশি। এটা কমিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। হার্ড ড্রিংকসের ওপর যে হারে ট্যাক্স নেওয়া হয়, তে বিদেশিরা খুশি না। ফলে বিক্রিও কম হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সারাদেশে অনুমোদিত বারের সংখ্যা মাত্র  ৯৬টি। অথচ গুলশান-বনানীতে যেকোনো রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ড্রিংকসের অর্ডার করলে ওরা সার্ভ করে দেয়। কিন্তু তারা কোনো ট্যাক্স দেয় না। কারণ তাদের লাইসেন্স নেই। তাই যারা এসব করছে, তাদের বৈধভাবে মদ বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে দেন। যারা মদ বিক্রি করছে, তাদের ‘অ্যালাউ’ করে দেন।

সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে চট্টগ্রাম ছাড়া সব হোটেল, রিসোর্টকে ৫-১০ বছরের জন্য কর অবকাশ দেওয়া হোক। অবহেলিত এলাকাগুলোতেও যেখানে শিল্প কারখানা হচ্ছে, সেখানেও কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হোক। আজ থেকে ২০ বছর আগে নিজেও কর অবকাশ সুবিধা পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সবার জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ফ্ল্যাট কিনতে আয়ের উৎসের সন্ধান বন্ধের দাবি জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কিছু বাধা রয়েছে। আমাদের এখানে ফ্ল্যাট কেনার সময় অর্থের উৎসের সন্ধান করা হয়। এতে ফ্ল্যাট বিক্রির হার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। অথচ এই অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে গিয়ে তারা ফ্ল্যাট কিনছেন। এই অর্থপাচার বন্ধের একটা উপায় বের করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রস্তাব করছি, যে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনবে সেই টাকার ১০ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে সেটা যেন সাদা করার সুযোগ থাকে। ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অর্থের উৎসের অনুসন্ধান বন্ধ করতে হবে। আর ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ফি কমাতে হবে।’ ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ১৬ শতাংশ ট্যাক্সকে ৭ শতাংশে নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এমপিওভুক্তির কথা বলা হলেও বাজেটে কাগজে-কলমে কিছু দেখছি না। আমার অনুরোধ থাকবে, এটাকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে থাকুক এবং প্রতিটি সংসদীয় আসনে অন্তত দুইটি করে হলেও এমপিওভুক্তি করার অনুরোধ করছি। এমপিওভুক্ত করে দেন, না করলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন