বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত নিয়ে বুধবার আইসিসিতে বৈঠক

June 19, 2018 | 8:03 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তা তদন্ত করা হবে কিনা— সে বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (২০ জুন) বৈঠকে বসছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা।

রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকদের অনুমতি চেয়ে গত ৯ এপ্রিল আবেদন করেছিলেন ওই আদালতেরই চিফ প্রসিকিউটর ফাতোহ বেনসুডা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির প্রি-ট্রায়াল বিভাগের প্রেসিডেন্ট গত ১১ এপ্রিল আবেদনটি শুনানির জন্য সংস্থাটির চেম্বার বিভাগে পাঠান।  পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের মতামত জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আগে গত মে মাসে আইসিসি’র তিন জন বিচারকের কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। মূলত তিনটি বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে আগামী ১১ জুনের মধ্যে লিখিতভাবে চিঠির জবাব দিতে বললে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসসিসিকে লিখিতভাবে জবাব জানায়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আইসিসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছি। বাংলাদেশ আইন মেনে চলে এবং আমরা দায়িত্বশীল একটি জাতি। বাংলাদেশ রোম সনদে অনেক আগেই সই করেছে। আইসিসির চিঠির জবাব রোম সনদ মেনেই দেওয়া হয়েছে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আইসিসি যেসব তথ্য জানতে চেয়েছিল এবং আমরা যতটুকু জানি, তার সবটাই আইসিসিকে জানিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বাষ করি, দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব। এই সংকট মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে পাঁচটি সুপারিশ পেশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো ওই পথে এই সংকট মেটানো সম্ভব।’

শাহরিয়ার আলম আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাক।’

এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের বাইরে সুশীল সমাজের অংশ হিসেবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান ওবিই এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ওমেনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক পারউইর হাসান তাদের মতামত এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক অভিজ্ঞতা আইসিসিতে জমা দেন।

এ ছাড়াও আইসিসিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কানাডা সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশন এইডসহ একাধিক সংস্থার প্রতিবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন